ঘটনা উত্তর প্রদেশের বান্দা জেলার। সেখানে সিভিল কোর্টের এক মহিলা বিচারক চিঠি পাঠান দেশের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে। তাঁর অভিযোগ, জেলার ডিস্ট্রিক্ট জাজ ও তাঁর সঙ্গীরা তাঁকে যৌন হেনস্থা করছেন। এই অভিযোগে তিনি দেশের প্রদান বিচারপতির কাছে পাঠান চিঠি। এরপরই বিষয়টি নিয়ে রিপোর্ট তলব করেছেন প্রধান বিচারপতি।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই ওই মহিলা বিচারকের চিঠি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। দুই পাতার চিঠিতে নিজের যন্ত্রণার কথা জানিয়েছেন তিনি। এদিকে, চিঠি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই খবর নিয়ে শোরগোল হয়। এদিকে, মহিলার ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এই ইস্যুতে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন। চিঠিতে ওই মহিলা বিচারক নিজের জীবন শেষ করে দিতে চেয়ে আর্জি জানান। তিনি জানান, প্রবল যৌন অত্যাচারের শিকার তিনি হচ্ছেন দিনের পর দিন। শুধু যে হেনস্থা তা নয়, সঙ্গে তাঁরে কুকথাও শুনতে হচ্ছে। এই পরিবেশ ও পরিস্থিতিতে তিনি ওই চিঠিটি লেখেন বলে জানা গিয়েছে। মহিলা বিচারকের বারাবাঁকি জেলায় পোস্টিং ঘিরে এই ধরনের অভিযোগ তিনি তুলেছেন। এছাড়াও জেলার ডিস্ট্রিক্ট জাজের সঙ্গে তাঁর সমস্যার সমাধান সুদূর অস্ত বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। যে চিঠি ভাইরাল হয়েছে, তাতে ওই মহিলা বিচারক লিখেছেন, ‘আমার আর বাঁচার ইচ্ছা নেই। আমি গত দেড় বছরে একটি হাঁটা মৃতদেহের কাছে রেন্ডার করেছি। এই প্রাণহীন ও প্রাণহীন দেহকে আর ঘুরিয়ে আনার কোনো উদ্দেশ্য নেই। আমার জীবনের কোন উদ্দেশ্য বাকি নেই। দয়া করে আমাকে একটি মর্যাদাপূর্ণ উপায়ে আমার জীবন শেষ করার অনুমতি দিন।’ এদিকে, সূত্রের খবর, এলাহাবাদ হাইকোর্টের রেজিস্টারারা জেনারেলকে সুপ্রিম কোর্টের সেক্রেটারি জেনারেল একটি চিঠি পাঠান। সেখানে জানতে চাওয়া হয়েছে, এই ইস্যুতে ইন্টারনাল কম্ল্পেইন্ট কমিটি কী পদক্ষেপ করছে? উল্লেখ্য, বিচারকদের অভিযোগ ঘিরে এই ইন্টারনাল কম্প্লেইন্ট কমিটি থাকে।
জানা গিয়েছে, দেশের প্রধান বিচারপতির নির্দেশানুসারে সুপ্রিম কোর্টের প্রশাসনের তরফে এই অভিযোগ ঘিরে পদক্ষেপ করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের প্রশাসনিক স্তর থেকে এলাহাবাদ হাইকোর্টের রেজিস্টারার জেনারেলের কাছে চিঠি পাঠানো হয়। সূত্রের দাবি, রিপোর্ট পেলেই এই ইস্যুতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে, মামলা সুপ্রিম কোর্টে উঠেছে গত ৪ ডিসেম্বর। সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি হৃষিকেশ রায়ের বেঞ্চে মামলা যায়। বেঞ্চ তার পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, মামলাটি ইন্টারনাল কমপ্লেইন্ট কমিটির আওতায় রয়েছে। ফলে, কমিটির রিপোর্ট আসা পর্যন্ত তাঁকে অপেক্ষা করতে হবে।