করোনাভাইরাস টিকা নিয়ে নরওয়ে উদ্বেগ তৈরি হল। ইতিমধ্যে ফাইজারের টিকার প্রথম ডোজ নেওয়ার কয়েকদিনের মধ্যে ২৯ জনের মৃৃত্যুর খবর মিলেছে। আপাতত যে ১৩ জনের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এসেছে, সেই অনুযায়ী প্রত্যেকের করোনা টিকার গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলেই সম্ভবত মৃত্যু হয়েছে। আধিকারিকদের উদ্ধৃত করে একথা জানিয়েছে সংবাদসংস্থা ব্লুমবার্গ।
প্রাথমিকভাবে করোনা টিকা নেওয়ার পর নরওয়েতে ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল। যে ১৩ জনের ময়নাতদন্ত হয়েছে, তাঁরা প্রত্যেকে হাসপাতালে ভরতি ছিলেন। তাঁদের বয়স কমপক্ষে ৮০ ছিল। তার জেরে নরওয়ের মেডিসিন এজেন্সির তরফে জানানো হয়েছিল, দুর্বল, বয়স্ক মানুষদের শরীরে সম্ভবত গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়েছিল। সেই পরিস্থিতিতে ৮০ বছরের উর্ধ্বে অসুস্থ মানুষদের উপর টিকা প্রয়োগের উপর সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। বিবৃতিতে জানানো হয়েছিল, খুব বয়স্ক এবং গুরুতর অসুস্থদের ক্ষেত্রে করোনা টিকা সম্ভবত অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
কিন্তু কয়েক ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই কত বয়সের মানুুষদের ক্ষেত্রে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বেশি হচ্ছে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। কারণ আরও ছ'জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। সেক্ষেত্রে ৮০ বছরের কম বয়স্ক মানুষেরও মৃত্যু হয়েছে। অর্থাৎ প্রাথমিকভাবে শুধুমাত্র ৮০ বছরের উর্ধ্বে রোগীদের ক্ষেত্রে যে সতর্কতা জারি হয়েছিল, তাতে শঙ্কা পুরোপুরি কাটছে না। এখনও পর্যন্ত যে ২৯ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে, তাঁদের প্রত্যেকের বয়স ৭৫-এর বেশি।
শনিবার ব্লুমবার্গকে লিখিতভাবে নরওয়ের মেডিসিন এজেন্সি জানিয়েছে, আপাতত সেদেশে শুধুমাত্র ফাইজার এবং বায়োএনটেকের টিকা প্রদান করা হচ্ছে। ফলে মৃত ২৯ জনকেই মার্কিন এবং জার্মান সংস্থার টিকা দেওয়া হয়েছিল। আপাতত মৃত ১৬ জনের ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে। যে ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাঁরা প্রত্যেকেরই গুরুতর অসুস্থতা ছিল। টিকা প্রদানের পর সেই কেন্দ্র্রে অধিকাংশের বমি বমি ভাব, জ্বরের মতো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়েছিল। কিন্তু তাঁদের অসুস্থতার ফলে শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হয়। সেই পরিস্থিতিতে কোন বয়সিদের করোনা টিকা দেওয়া হবে, তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।