ইতিমধ্যে শীতের আমেজ মিলছে। হাওয়ায় আছে শিরশিরে ভাব। তারইমধ্যে চলতি মাসে ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস দিল বাংলাদেশের আবহাওয়ার অফিস। সবমিলিয়ে নভেম্বরে কমপক্ষে দুটিও নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান জানান, চলতি মাসে বঙ্গোসাগরের উপরে একটি বা দুটি নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। সেই নিম্নচাপের মধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। সেইসঙ্গে শ্রীলঙ্কা উপকূলে একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। সেই সম্ভাব্য নিম্নচাপ আদৌও ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে কিনা, তা এখনও স্পষ্টভাবে বোঝা যায়নি।
গত মাসে একটি ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল আবহাওয়া অধিদফতর। ফলে দুর্গাপুজোর সময় আবহাওয়া কেমন থাকবে, তা নিয়ে আশঙ্কার কালো মেঘ তৈরি হয়েছিল। তবে সেই ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশ আছড়ে পড়েনি। তার আগে গত সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে বঙ্গোসাগরে তৈরি হয়েছিল ঘূর্ণিঝড় ‘গুলাব’। তা গত ২৬ সেপ্টেম্বর উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ এবং দক্ষিণ ওড়িশার মধ্যে দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করেছিল। সেই ঘূর্ণিঝড়ের তেমন প্রভাব পড়েনি বাংলাদেশে।
এমনিতে হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, আপাতত বাংলাদেশের বিভিন্ন অংশে শীতের আমেজ মিলছে। কয়েকটি প্রান্তে অবশ্য এখনও গরম আছে। তবে আগামিদিনে তাপমাত্রা ক্রমশ কমতে থাকবে। দিন এবং রাতের পারদ পড়বে। উত্তর বাংলাদেশে কুয়াশার দাপট থাকতে পারে।