বারবার বিভিন্ন আদালতে যাওয়ায় পিছিয়ে যাচ্ছিল নির্ভয়াকাণ্ডের দণ্ডিতদের ফাঁসি কার্যকরের দিন। এবার এক সপ্তাহের মধ্যে সব আইন প্রক্রিয়া শেষের নির্দেশ দিল দিল্লি হাইকোর্ট। তারপর মৃত্যু পরোয়ানা জারির শুনানি শুরু হবে বলে জানিয়েছেন বিচারপতি সুরেশ কুমার কেত।
আরও পড়ুন : 'সরকারকে দণ্ডিতদের ফাঁসি দিতে হবে', কেঁদে ফেললেন নির্ভয়ার মা
হাইকোর্ট বলে, 'এটা নিয়ে কোনও বিতর্কের অবকাশ নেই যে দণ্ডিতরা (ফাঁসি) বিলম্বিত করার মাধ্যমে পুরো প্রক্রিয়াকে হতাশ করেছে।'
আরও পড়ুন : হিংস্র শ্বাপদের মতো মরবে নির্ভয়ার অত্যাচারীরা, ঘোষণা ফাঁসুড়ের
দণ্ডিতরা ফাঁসি কার্যকরের ক্ষেত্রে দেরি করছে বলে এদিনের শুনানিতে সওয়াল করেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। তাদের প্রাণভিক্ষার আর্জিকে আবেদন হিসেবে গণ্য করা যেতে পারে না বলে হাইকোর্টে সওয়াল করেন তিনি। যদিও সেই সওয়াল গ্রহণযোগ্য মনে করেনি হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন : নির্ভয়া কাণ্ডের সাত বছর- ফাঁসুড়ে হতে চেয়ে বিদেশ থেকে চিঠি তিহাড়ে
এদিন অবশ্য পাতিয়ালা হাউজ কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে কেন্দ্র যে আর্জি জানিয়েছিল, তা খারিজ করে দেন বিচারপতি। দণ্ডিতদের ১ ফেব্রুয়ারি ফাঁসি কার্যকরের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছিল পাতিয়ালা হাউজ কোর্ট। তার বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টে গিয়েছিল কেন্দ্র। পাশাপাশি, অন্যতম দুই দণ্ডিত মুকেশ সিং ও বিনয় শর্মাকে আলাদাভাবে ফাঁসি দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিল কেন্দ্র। তাও খারিজ হয়েছে। মুকেশ ও বিনয়ের সামনে কোনও আইনি পথ বা প্রাণভিক্ষার আর্জি জানানোর সুযোগ নেই।
আরও পড়ুন : নির্ভয়া-দোষীদের ফাঁসির ড্রেস রিহার্সাল হল তিহাড়ে
তবে বিচারপতির মতে, দেরিতে ঘুম ভেঙেছে কর্তৃপক্ষের। তিনি বলেন, 'আমার এটা বলতে কোনও দ্বিধা নেই যে ১৮৬ দিন পর মুকেশ সুপ্রিম কোর্টে রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি না জানানো পর্যন্ত কেউ দণ্ডিতদের ফাঁসি দেওয়ার বিষয়ে চিন্তিত ছিল না।'
আরও পড়ুন : 'ইন্দিরা জয়সিংয়ের মতো লোকের জন্য ধর্ষণ হয়', কড়া জবাব নির্ভয়ার মা
রায়ের পর নির্ভয়ার মা আশা দেবী বলেন, 'দিল্লি হাইকোর্টের রায়কে স্বাগত জানাচ্ছি। এক সপ্তাহের মধ্যে সব আইন প্রক্রিয়া শেষের নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। তারপর দণ্ডিতদের দ্রুত ফাঁসি দেওয়া উচিত।'
আর পড়ুন : 'মেয়ের মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে', কাঁদতে কাঁদতে বললেন নির্ভয়ার মা