দিল্লি সীমানায় কৃষক আন্দোলনের সপ্তম মাস পূর্ণ হল আজ। এই উপলক্ষে কৃষক সংগঠনগুলি সিঙ্ঘু-টিকরি সহ দিল্লি সীমানার একাধিক জায়গায় 'কৃষি বাঁচাও, গণতন্ত্র দিবস বাঁচাও'-এর স্লোগান তুলে বিক্ষোভ প্রদর্শন করবেন। তবে এই বিক্ষোভের মাঝেই পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই হামলা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে রিপোর্ট পাঠাল দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুল। এই রিপোর্ট পেতেই রাজধানীর নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে দিল্লি পুলিশ ও কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর তরফে।
হামলার আশঙ্কা করে গোয়েন্দা দফতরের তরফে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। এরপরই দিল্লির মেট্রো স্টেশনগুলির বাইরে যথেষ্ট নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া দিল্লি মেট্রো কর্পোরেশন তিনটি মেট্রো স্টেশন বিশ্ববিদ্যালয়, সিভিল লাইন আর বিধানসভা সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এদিকে গোয়েন্দাদের রিপোর্টে বলা হয়েছে, কৃষক বিক্ষোভের নেপথ্যে থেকে আইএসআই নিরাপত্তারক্ষীদের উত্তেজিত করে পরিস্থিতি খারাপ করতে চাইবে।
এর আগে পুলিশ অভিযোগ জানায়, কৃষক আন্দোলনের বিভিন্ন স্থানে গত কয়েকদিন ধরে বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটেছে। এদিকে এই অভিযোগ অস্বীকার করে কৃষকদের দাবি, আন্দোলন শান্তিপূর্ণ ভাবে চলছে। এদিকে দিল্লি পুলিশের অভিযোগ, গতমাসে সিঙ্ঘু সীমানায় তাদের স্পেশাল ব্রাঞ্চের দুই আধিকারিককে হেনস্থা করা হয়েছিল। এর প্রেক্ষিত অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের নামে এফআইআর-ও দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা জানিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সহ বিভিন্ন রাজ্যের বহু কৃষক এই আন্দোলনে যোগ দেবে। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের হস্তক্ষেপ চাইছে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা। রাষ্ট্রপতির কাছে একটি স্মারকলিপি পাঠাবে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা। তাতে তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহার, আর কৃষকদের জন্য ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের নিশ্চয়তার আবেদন জানাবেন তাঁরা।