সুতীর্থ পত্রনবীশ
২৪ পাতার একটা ম্যাগাজিন। নাম ভারত, দ্য মাদার অফ ডেমোক্র্যাসি। Bharat the mother of Democracy। এই ম্য়াগাজিনটা অতিথি ও সাংবাদিকদের মধ্যে বিলি করা হয়েছিল। শনিবার সকালেও নরেন্দ্র মোদীর ভাষণে উঠে আসে ভারত শব্দটা। এর আগে রাষ্ট্রপতি ডিনারের জন্য আমন্ত্রণ করেছিলেন। সেখানেও উল্লেখ করা হয় প্রেসিডেন্ট অফ ভারত শব্দটা। তারপরই এনিয়ে হইচই শুরু হয়ে যায়। তবে কি দেশের নাম বদলের ক্ষেত্রে কয়েক কদম এগিয়ে গেল দেশ?এদিকে ওই ম্যাগাজিনটা দ্রুত শেষ হয়ে যায় ভারত মণ্ডপম থেকে। কিন্তু কেন ইন্ডিয়ার জায়গায় ইংরেজিতেও ভারত শব্দটা উল্লেখ করা হল?
সেখানে লেখা হয়েছে, ভারত দেশের অফিসিয়াল নাম। এটা সংবিধানেও উল্লেখ করা আছে। ১৯৪৬-৪৮ সালের আলোচনায় এই নামেই দেশকে ডাকা হত।
এদিকে দেশের নাম বদল নিয়ে নানা জল্পনা ছড়িয়েছে। তার মধ্য়েই হাতে এল জি২০ সামিটের ম্যাগাজিন। সেখানে প্রথম পাতায় জ্বলজ্বল করছে ভারত শব্দটা। বিদেশি অতিথিরাও এই নামেই দেশকে চিনছেন। অনেকের মতে, এটা একটা বড় ইঙ্গিত। জি-২০ এর মতো আন্তর্জাতিক প্লাটফর্মে ভারত দেশকে চেনানো হল ভারত নামেই।
কেন্দ্রীয় সরকার এই ম্যাগাজিনটি তৈরি করেছে। বিনাপয়সায় এগুলি বিলি করা হয়েছে। একেবারে ঝকঝকে ম্যাগাজিন। ভারতের ইতিহাসের নানা ঘটনাকে হাজির করা হয়েছে এই ম্যাগাজিনে। সিন্ধু সভ্যতার কথা বলা হয়েছে। ভারতের ইতিহাসের নানা দিকের কথা উল্লেখ করা হয়েছে এই ম্যাগাজিনে। বেশ সুখপাঠ্য একটা ম্যাগাজিন।
এমনকী এই ম্যাগাজিনে রামায়ণ, মহাভারতের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। রামায়ণ ২০০০ বিসিইর আগে ও মহাভারত ১১০০ বিসিইর আগে। এগুলিকে কার্যত সত্যি ঘটনা হিসাবে তুলে ধরা হয়েছে।
চিনের পরিব্রাজক ফা হিয়েনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে এই ম্যাগাজিনে। মুসলিম শাসকদের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে এই ম্যাগাজিনে। ১৯৫২-২০২৩ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যেখানে শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতির মধ্যে ক্ষমতায় হস্তান্তর হয়েছিল।