মৈত্রী এক্সপ্রেস আছে। তা দু’দেশের মধ্যে যাতায়াত করে। এবার চালু হচ্ছে ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষাকারী মৈত্রী সেতু। এই সেতুর মধ্য দিয়েই এপার থেকে ওপারে যাওয়ার যোগাযোগ ব্যবস্থা আসান হবে। এপার বাংলা ও ওপার বাংলা দু’দেশের মধ্যে খুলছে যোগাযোগের নতুন দিক। আবার ভারতকে পদ্মাপারের দুটি বন্দর ব্যবহার করতে অনুমতি দিয়েছে শেখ হাসিনা সরকার। এই প্রথম চট্টগ্রাম এবং মোংলা বন্দর ব্যবহার করতে পারবে ভারত। এমনই অনুমতি দিয়েছে শেখ হাসিনার সরকার। তার জেরে উত্তর–পূর্ব ভারতের অর্থনীতি বদলে যাবে বলে মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর।
এদিকে কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর আগেই জানিয়েছিলেন, ভারত–বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও মজবুত ও দৃঢ় হচ্ছে। তখন বিষয়টি প্রকাশ্যে আসেনি। এবার দু’দেশের মধ্যে যোগাযোগ এবং বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও উন্নতির খবর সামনে নিয়ে আসতেই বিষয়টি বোঝা গিয়েছে। সেতু, বন্দর, রেল যোগাযোগ যত বাড়বে বাণিজ্য তত বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। বাংলাদেশ হাত বাড়িয়ে দিতেই তা ধরেছে ভারত। এই খবর জানিয়েছেন এস জয়শঙ্কর। মুম্বই ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্টের পড়ুয়াদের অনুষ্ঠানে এস জয়শঙ্কর জানান, বাংলাদেশের এই পদক্ষেপের জেরেই আরও উন্নতি হবে উত্তর–পূর্ব ভারতের।
অন্যদিকে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের রক্তঋণের সম্পর্ক। ৭১ সালের যুদ্ধই হোক বা ২০১৯ সালের মহামারি করোনাভাইরাস। ভারত বারবার থেকেছে বাংলাদেশের পাশেই। বাংলাদেশও পদ্মার ইলিশ, ঢাকাই মসলিন থেকে শুরু করে ফলের রাজা আম পাঠিয়ে সেই সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে। এবার এই ব্যবস্থা নিয়ে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের রেল এবং বাস যোগাযোগ আছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথমবার তাদের দেশের ভিতর দিয়ে ভারতীয়দের যাওয়া এবং দুটি বন্দর ব্যবহার করার অনুমতি মিলেছে। সুতরাং বড় প্রভাব পড়বে ভারতের উত্তর–পূর্বাঞ্চলে। এতদিন উত্তর–পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিকে বিদেশ থেকে পণ্য আমদানি–রফতানি করার জন্য নির্ভর করতে হতো দেশের পূর্বাঞ্চলের বন্দরের উপর।
আরও পড়ুন: ‘কাশ্মীর উপত্যকায় তুষারপাত’, বরফের বুক চিরে এগিয়ে যাচ্ছে ট্রেন ভিডিয়ো পোস্ট বৈষ্ণবের
এছাড়া শিলিগুড়িকে ভায়া করার জেরে খরচ অনেক বেশি হতো। কিন্তু এখন উত্তর–পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলি খুব সহজেই চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহার করতে পারবে। তাতে সময় ও অর্থ দুটিই বাঁচবে। জয়শঙ্কর বিষয়টি নিয়ে জানান, আগরতলা–আখাউড়া রেলপথে যোগাযোগের জেরে উত্তর–পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলির সঙ্গে বাংলাদেশে চলার পথে সময় এবং দূরত্ব কমে যাবে। বাজার অর্থনীতি, পণ্য পরিবহণ এবং মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়বে। দুটি বন্দর ব্যবহার করতে দেওয়ার জেরে ভারতের উত্তর–পূর্বাঞ্চলে অর্থনীতিতে উন্নতি ঘটবে। ফেব্রুয়ারি মাসেই শুরু হচ্ছে মৈত্রী সেতুর। ভারতে আসার কথা আছে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী হাসান মেহমুদের।