কেরল হাইকোর্ট (ANI)
শুধুমাত্র পিতৃত্ব নিয়ে সন্দেহ দূর করার জন্য আদালত ডিএনএ টেস্টের নির্দেশ দিতে পারে না। এক মামলার প্রেক্ষিতে এমনটাই জানাল কেরল হাইকোর্ট। এই ডিএনএ টেস্টের আবেদন আগেই খারিজ করে দিয়েছিল একটি পারিবারিক কোর্ট। সেই আদেশ বহাল রেখে কেরল হাইকোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, বাবা কে শুধুমাত্র তা নিয়ে সন্দেহ দূর করার জন্য ডিএনএ পরীক্ষার নির্দেশ দেওয়া ন্যায়সঙ্গত নয়।
স্বামীর এই আবেদন বিরোধিতা করে স্ত্রী আদালতে জানায় খোরপোষ দেওয়া এড়ানোর জন্য এই মামলা করা হয়েছে। তিনি জানান, ২০০৬ সালে শিশুটির জন্ম হয়। তার আগে ২০০৫ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে ১২ মে পর্যন্ত তিনি স্বামীর সঙ্গে ওমানে ছিলেন।
এর আগে ওই ব্যক্তি দায়ের মামলা খারিজ করে দেয় একটি পারিবারিক কোর্ট। আদালত বলে, ভারতীয় সাক্ষ্য আইন ১১২ অনুযায়ী শুধুমাত্র বাধ্যতামূলক পরিস্থিতিতে ডিএনএ টেস্ট করার নির্দেশ দেওয়া যেতে পারে। শুধুমাত্র সন্দেহ দূর করার জন্য নয়। আদালতের পর্যবেক্ষণ ওই আগে এই মামলা করেন এবং পরে তা তুলে নিয়ে স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে বাস করতে শুরু করেন।
(পড়তে পারেন। লজ্জা! গরিব সবজি বিক্রেতাকে নগ্ন করে ভরা বাজারে মারধর, কেন জানেন?)
(পড়তে পারেন। চাষিদের জন্য চালু করা হল ‘কিষান ঋণ পোর্টাল’, কী কী ফায়দা মিলবে?)
মামলায় হাইকোর্টের প্রশ্ন, নির্দিষ্ট ভাবে পিতৃত্বের অস্বীকার না করা সত্বেও শুধু সন্দেহ দূর করার জন্য ডিএনএ টেস্ট করতে বলা যেতে পারে কি? হাইকোর্টও ভারতীয় সাক্ষ্য আইন ১৯৭২-এর ১১২ ধারা উল্লেখ করে বলে স্বামী-স্ত্রী বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ থাকার সন্তানের জন্ম হয় বা বিচ্ছেদের ২৮০ দিন পরও মা যদি অবিবাহিত থাকেন তবে প্রমাণ হবে সন্তান ওই ব্যক্তিরই। যদি না দেখা যায় বিবাহের পর একে অপরের কাছে প্রবেশাধিকার ছিল না, তা সত্বে সন্তানের জন্ম হয়েছে।
হাইকোর্ট বলে, আইনটি তৈরি হয়েছে পিতৃত্ব নিয়ে বিরোধ নিরসনের জন্য। তার মানে এই নয় যে আদালত সব সময় এই ধরনের বিরোধের নিষ্পত্তির জন্য ডিএনএ টেস্টের নির্দেশ দেবে।
আদালত বলে, শুধুমাত্র যেক্ষেত্রে আদালত মনে করবে ডিএনএ টেস্ট ছাড়া সিন্ধান্তে আসা সম্ভব নয়, সেক্ষেত্রেই ডিএনএ পরীক্ষার নির্দেশ দিতে পারেন আদালত।