পাকিস্তানের সংসদে পাশ হল 'কুলভূষণ অর্ডিন্যান্স'। এর ফলে এবার সেদেশের হাইকোর্ট নিজের মৃত্যুদণ্ডের বিরদ্ধে আবেদন জানিয়ে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার সুযোগ পাবেন তিনি। আন্তর্জাতিক আদালতের নির্দেশ কার্যকর করা হবে, যার ফলে কুলভূষণ মামলা সংক্রান্ত যেকোনও রায় পর্যালোচনা এবং পুনর্বিবেচনা করা যাবে।
এই বিসটি বৃহস্পতিবার গৃহীত হয় পাকিস্তানের সংসদের নিম্ন কক্ষে। সেখানে এই বিলটিকে সবুজ সংকেত দেয় ২১ সদস্যের এক স্ট্যান্ডিং কমিটি। আইনটির নাম দেওয়া হয়েছে 'আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালত (পর্যালোচনা এবং পুনর্বিবেচনা) আইন'। আন্তর্জাতিক স্তরে কুলভূষণ যাদব ইস্যুতে বড় জয় পায় ভারত। পাকিস্তানকে প্রাক্তন ভারতীয় নৌ-অফিসারের মৃত্যুদণ্ডের পুনর্বিবেচনার নির্দেশ দেয় আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালত। তবে আইসিজে-র সেই রায়কে কার্যকর করতে প্রায় দুই বছর লাগিয়ে দিল পাকিস্তান।
গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে পাকিস্তানের মিলিটারি কোর্টে কুলভূষণকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করার পর থেকেই দিল্লির তরফ থেকে জোরদার বিরোধিতা শুরু হয়। আন্তর্জাতিক আদালতে ওঠে মামলা। এরপর আন্তর্জাতিক আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, ভারতীয় চর সন্দেহ ধৃত কূলভূষণ যাদবকে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার জন্য পাকিস্তান হাইকোর্টে আবেদনের সুযোগ দিতে হবে। কুলভূষণের মৃত্যুদণ্ডের রায় পুনর্বিবেচনা করার সময় ভারতেরও প্রতিনিধি থাকতে হবে সেখানে। সেই রায়ের পর কেটে গেছে প্রায় দুই বছর।
কুলভূষণ যে ভারতের গুপ্তচর নয়, সেকথা বারবার বলে এসেছে দিল্লি। কুলভূষণ নৌসেনা থেকে অবসর নেওয়ার পর ইরানে নিজের ব্যক্তিগত ব্যবসা চালাতেন। সেখান থেকেই তাঁকে অপহরণ করা হয়েছে বলে বারবার জানানো হয়েছে দিল্লি থেকে। কিন্তু পাকিস্তান বলছে, তাঁকে বালুচিস্তান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।