মধ্যপ্রদেশের বেতুলে একটা বিরল ও নজিরবিহীন ঘটনা ঘটেছে। যা একদিকে শিহরণ জাগায়। অপরদিকে ভাবিয়ে তোলে। এক ব্যক্তি তার সদ্যজাত পুত্রসন্তানকে খুন করেছে বলে অভিযোগ। মদ্যপ অবস্থায় ওই ব্যক্তি তার সদ্যজাতকে খুন করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে খুন কারণ সবাইকে চমকে দিয়েছে। এই ব্যক্তির ইতিমধ্যেই দুটি পুত্রসন্তান রয়েছে। তৃতীয়বার তিনি আসা করেছিলেন কন্যাসন্তান হবে। সেখানে তৃতীয় বারও পুত্রসন্তান হওয়ায় মদ্যপ অবস্থায় রাগে, হতাশায় সদ্যজাত পুত্রসন্তানকে মেরে ফেলল ওই ব্যক্তি বলে অভিযোগ।
এদিকে পুলিশ খুনের অভিযোগে এই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশের কাছে গোটা ঘটনা স্বীকার করেছে ধৃত অনিল উইকি। রবিবার রাতে কোতওয়ালি থানা অনিলকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করেছে। অনিল পরিবার নিয়ে থাকত বাজ্জারওয়াড়া গ্রামে। কোতওয়ালি থানার ওসি আশিস সিং পাওয়ার জানান, অনিল এই খুন করেছে। যা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। বাড়িতে স্ত্রীর সঙ্গে ঝামেলা পর্যন্ত করেছে এই ব্যক্তি। ধৃত অনিল স্ত্রীকে মারধর করেছে। আর জোর করে ১২ দিনের শিশুকে নিয়ে চলে যায়। ঝামেলা আরও বাড়তে পারে এই আশঙ্কায় স্ত্রী স্থান ত্যাগ করেন।
অন্যদিকে স্ত্রী কিছুক্ষণ পর বাড়িতে ফিরে এসে দেখেন ওই সদ্যজাত পুত্রসন্তানের দেহে প্রাণ নেই। পুলিশ গলা টিপে হত্যা করার চিহ্ন পেয়েছে প্রাথমিক তদন্তে। তাই ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুযায়ী মামলা দায়ের করা হয়েছে ধৃত অনিল উইকির বিরুদ্ধে। জেরা পর্বে অনিল স্বীকার করেছে, তৃতীয়বার সে কন্যাসন্তানের আশা করেছিল। কিন্তু তারপরও দেখা যায় পুত্রসন্তান হয়েছে। ইতিমধ্যেই তাঁর দুই পুত্রসন্তান বর্তমান। তাই সে এই কাজ করেছে। পুলিশ এই তথ্য পেয়ে চমকে উঠেছেন। কারণ এটা বিরল ঘটনা। সাধারণত শোনা যায়, বারবার কন্যা সন্তান হওয়ায় স্ত্রীর উপর অত্যাচার বা সন্তানকে খুন করা ইত্যাদি। সেখানে কন্যা সন্তানের আশা পূরণ না হওয়ায় পুত্রসন্তানকে খুন এটা অত্যন্ত বিরল ঘটনা।
আরও পড়ুন: রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা, জারি করল কলকাতা হাইকোর্ট
এছাড়া এলাকার প্রত্যেকটি মানুষকে এই ঘটনা ভাবিয়ে তুলেছে। লিঙ্গ পক্ষপাত এবং হিংসা সদ্যজাতের প্রতি নেমে আসায় ব্যাপক আলোড়ন ছড়িয়ে পড়েছে মধ্যপ্রদেশের বেতুলে। ন্যায় বিচারের জন্য এবার পুলিশ তদন্তে নেমে রিপোর্ট তৈরি করতে শুরু করেছে। আর কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবি সংস্থা এই লিঙ্গ পক্ষপাতের বিরুদ্ধে সচেতনতা শিবিরের আয়োজন করেছে। এমন ঘটনা ভবিষ্যতে যাতে না ঘটে তার জন্যই এমন উদ্যোগ বলে মনে করা হচ্ছে। তাতে সহায়তা করছে পুলিশও।