পাঞ্জাবের এক ২৪ বছর বয়সী পড়ুয়ার মৃত্যুর পর পরই তাঁর মায়ের আত্মহত্যার ঘটনায় শোকের ছায়া এলাকায়। পাঞ্জাবের শহিদ ভগত সিং নগর এলাকায় যখন ওই মহিলার মৃত্যু ও তার আগে তাঁর ছেলের মৃত্যু সংবাদ ঘিরে অনেকেই হতবাক।
কানাডায় মৃত্যু হয়েছে ছেলের। তাঁর নিথর দেহ পাঞ্জাবের শহিদ ভগত সিং নগর এলাকায় আসতেই বুক ফাটা আর্তনাদে ভেঙে পড়েছিলেন যুবকের মা। কানাডায় এক পিৎজা ডেলিভারির সময় ওই যুবককে বেধড়ক মারধর করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর দেহ আসে ভারতে। এদিকে, পুত্র বিয়োগের ঘটনা কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলেন না ওই যুবকের মা। পুলিশ জানিয়েছে ৫১ বছর বয়সী ওই মহিলা শেষে আত্মহত্যার রাস্তা বেছে নেন। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে যায়। তবে পুলিশের কাছে সেই খবর পৌঁছয় পরের দিন। পুলিশ জানিয়েছে,'প্রাথমিক তদন্ত অনুসারে, কানাডায় তার ছেলের মৃত্যুর পরে মহিলাটি হতবাক হয়েছিলেন। পরিবারের সদস্যরা জানান, তিনি ক্ষতি সইতে পারছেন না।'
( ‘ইতনা প্যায়সা নেহি হ্যায়’! চোখের জল পড়ছে টমেটো বিক্রেতার, ভিডিয়ো শেয়ার রাহুলের)
এদিকে, কানাডার পিল রিজিওনাল পুলিশ জানিয়েছে, কানাডার পিল আঞ্চলিক পুলিশ হোমিসাইড ব্যুরো জানিয়েছে যে ৯ জুলাই মিসিসাগায় ব্রিটানিয়া রোডের কাছে এমারসন লেনে পিজ্জা দেওয়ার সময় ছাত্রটিকে লাঞ্ছিত করা হয়েছিল। হামলাকারী তার গাড়ি চুরি করে পালিয়ে যায়। পড়ুয়া সেই সময় প্রবল মারধরের জেরে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকে। অবসাদে ভুগতে থাকে তাঁর গাড়ি নিয়ে অভিযুক্তরা পালানোর পর। পথচারীরা তাঁকে উদ্ধার করতে এসে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যায়, কিছুদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর কিন্তু ১৪ জুলাই তাঁর মৃত্যু হয়। প্রাথমিকভাবে যুবকের মায়ের কাছ থেকে তাঁর মৃত্যুর কথা গোপন রাখা হয়। পরে তাঁর মা সমস্ত বিস্তারিত তথ্য জানতে পারেন। হতাশায় চলে যেতে থাকেন তিনি। কার্যত শোকস্তবধ হয়ে পড়েন যুবকের মা। পুলিশ জানাচ্ছে, হামলাকারীদের সঙ্গে যুবকের পূর্ব পরিচিতিও ছিল না। ফলে কেন এই হামলা, তা নিয়ে প্রশ্ন। অন্যদিকে, ওই গাড়িটি ঘটনাস্থল থএকে খানিক দূরেই উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।