বৃহস্পতিবার উত্তর কোরিয়া 'প্রথম' কোভিড কেসের বিষয়ে ঘোষণা করল। তার ঠিক পরপরই লকডাউন ঘোষণা করলেন সেদেশের 'সুপ্রিম লিডার' কিম জং উন। গুরুতর জরুরি অবস্থার উল্লেখ করা কড়া বিধিনিষেধ আরোপ করলেন তিনি।
উল্লেখযোগ্য বিষয়টি হল, ২০২০ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত, একটিও করোনা কেসের কথা স্বীকার করেনি উত্তর কোরিয়া। অবশ্য তার কিছুটা কারণও ছিল। এমনিতেই উত্তর কোরিয়ায় ভিনদেশ থেকে খুব কম ব্যক্তিই যান। তাছাড়া কোভিড পরিস্থিতি শুরুর সঙ্গে সঙ্গে সীমান্তে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল।
সম্প্রতি পিয়ংইয়ং-এ জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের নমুনায় 'ওমিক্রন BA.2 ভেরিয়েন্ট মিলেছে,' বলছে সেদেশের সরকারি সংবাদ সংস্থা।
তবে নিন্দুকদের মতে, একটিও করোনা এর আগে হয়নি, এমনটা একেবারেই নয়। তবে অন্যান্য সমস্ত বিষয়ের মতো সেগুলি চেপে গিয়েছে উত্তর কোরিয়া প্রশাসন। টিকাকরণেরও ব্যবস্থা নেয়নি উত্তর কোরিয়া। বর্তমানে পরিস্থিতি খারাপ বলেই শেষমেশ স্বীকার করা হচ্ছে বলে ধারণা অনেকের।
বৃহস্পতিবার কিম জং উন-সহ শীর্ষ কর্মকর্তারা করোনার বিষয়ে আলোচনার জন্য একটি পলিটব্যুরো বৈঠক করেন। তারপর ঘোষণা করা হয় যে তাঁরা 'সর্বোচ্চ জরুরি মহামারী প্রতিরোধ ব্যবস্থা' প্রয়োগ করবেন। ইতিমধ্যে শহর-গ্রামে কড়া লকডাউনের নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে।
টিকাকরণে না
উত্তর কোরিয়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং চিন ও রাশিয়ার টিকা পাঠানোর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিল।
আসান ইনস্টিটিউট ফর পলিসি স্টাডিজের গবেষক গো মায়ং-হিউন এএফপিকে বলেন, WHO-র কোভ্যাক্স স্কিমের মাধ্যমে ভ্যাকসিন গ্রহণ করার জন্য 'কীভাবে ভ্যাকসিন বিতরণ করা হয় সে বিষয়ে স্বচ্ছতা প্রয়োজন। কিন্তু দেশের কোনও তথ্যই প্রকাশ করে না উত্তর কোরিয়া। সেই কারণেই উত্তর কোরিয়া টিকার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে।'
উত্তর কোরিয়া এমন কয়েকটি দেশ দ্বারা বেষ্টিত, যেখানে কোভিডের বিরুদ্ধে কার্যত যুদ্ধ হয়েছে, বা এখনও নিয়ন্ত্রণের জন্য লড়াই করছে। বিশেষত, দেশগুলিতে ওমিক্রনের প্রাদুর্ভাব ছিল। তা সত্ত্বেও টিকাকরণ না করা যে বেশ ঝুঁকিপূর্ণ, তা বলাই বাহুল্য।