বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > Modi in Coromandel Express Accident Site: হেলিকপ্টারে করে বালাসোরে মোদী, খতিয়ে দেখবেন করমণ্ডল দুর্ঘটনাস্থলের পরিস্থিতি

Modi in Coromandel Express Accident Site: হেলিকপ্টারে করে বালাসোরে মোদী, খতিয়ে দেখবেন করমণ্ডল দুর্ঘটনাস্থলের পরিস্থিতি

দুর্ঘটনাস্থলে মোদী

হেলিকপ্টারে করে ওড়িশার বালাসোরে পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনাস্থল ঘুরে দেখবেন তিনি। এরপর তিনি সেখান থেকে কটকে যাবেন বলে জানা গিয়েছে। কটকের হাসপাতালে গিয়ে দুর্ঘটনায় আহতদের সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।

হেলিকপ্টারে করে ওড়িশার বালাসোরে পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনাস্থল ঘুরে দেখবেন তিনি। এরপর তিনি সেখান থেকে কটকে যাবেন বলে জানা গিয়েছে। কটকের হাসপাতালে গিয়ে দুর্ঘটনায় আহতদের সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। এদিকে এর আগে আজ দুর্ঘটনাস্থলে যান ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকও। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবও সেখানে গিয়েছিলেন আজ সকালে। তিনি এখনও সেখানেই আছেন। এদিকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও হেলিকপ্টারে করে দুপুর নাগাদ ওড়িশায় গিয়ে পৌঁছান।

এর আগে দুর্ঘটনাস্থলের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন নবীন পট্টনায়েক। সেখানে তিনি বলেন, ‘অত্যন্ত মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনা… বিপর্যয় মোকাবিলা দল, স্থানীয় লোকজন এবং অন্যান্যদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। তারা ধ্বংসাবশেষ থেকে মানুষকে বাঁচানোর জন্য রাতভর কাজ করেছেন... রেলের নিরাপত্তাকে সর্বদা অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত...’ এদিকে দুর্ঘটনাস্থলে সাংবিকদের মুখোমুখি হয়ে মমতা বলেন, 'রাজ্য সরকার হতাহতদের পাশে আছে। আমরা অ্যাম্বুলান্স ও মেডিক্যাল টিম পাঠিয়েছি। বাংলার বহু মানুষ এই ট্রেনে ছিলেন।' এদিকে নিহতদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেন মমতা। সঙ্গে মমতা দাবি করেন, এই দুর্ঘটনায় রেলের সমন্বয়ের অভাব রয়েছে।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ বালাসোর জেলার বাহানগা বাজার রেল স্টেশনের কাছে আপ শালিমার-চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হয়ে যায়। দুর্ঘটনার তীব্রতা এতই ছিল যে যাত্রীবাহী ট্রেনটির ইঞ্জিন উঠে যায় এক মালগাড়ির ওপর। ট্রেনের অধিকাংশ বগি ছিটকে পড়ে পাশের লাইনে। এই সময় উলটো দিক থেকে আসা যশবন্তপুর-হাওড়া হামসফর এক্সপ্রেসের সঙ্গে ধাক্কা লাগে করমণ্ডলের লাইনচ্যুত বগিগুলিতে। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ ওড়িশার বালাসোর জেলার বাহানগা বাজার রেল স্টেশনের কাছে ১২৮৪১ আপ শালিমার-চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেসের একাধিক বগি লাইনচ্যুত হয়ে যায়। এর জেরে সেই ট্রেনের বি২, বি৩, বি৪, বি৫, বি৬, বি৭, বি৮, বি৯, এ১ এবং এ২ কোচ উলটে যায়। এছাড়া ট্রেনের ইঞ্জিন এবং বি১ কোচটি লাইন থেকে ছিটকে যায়। এই দুর্ঘটনার জেরে যশবন্তপুর হামসফর এক্সপ্রেসেরও বেশ কয়েকটি কামরা লাইনচ্যুত হয়।

এদিকে প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, সিগন্যালিং কন্ট্রোল রুমের ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে যে ভুল লাইনে ঢুকে পড়েছে আপ ১২৮৪১ শালিমার-চেন্নাই সেন্ট্রাল করমণ্ডল এক্সপ্রেস। তবে এখনও বিষয়টি নিয়ে ভারতীয় রেলের তরফে সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি। হিন্দুস্তান টাইমসকে রেলের এক শীর্ষকর্তা জানিয়েছেন, খড়্গপুর ডিভিশনের সিগন্যালিং রুমের ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে যে সন্ধ্যা ৬টা ৫৫ মিনিট নাগাদ ওড়িশার বালাসোর জেলার বাহানগা বাজার স্টেশন অতিক্রম করার পর লুপ লাইনে ঢুকে পড়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। এদিকে সেই লুপ লাইনে আগে থেকেই একটি মালগাড়ি দাঁড়িয়েছিল। এই মারাত্মক ভুলের কারণেই এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে। এই লুপ লাইনে করমণ্ডল এক্সপ্রেসটা না ঢুকলেই দুর্ঘটনা এড়ানো যেত। এছাড়াও প্রাথমিক তদন্তে জানা যাচ্ছে, সিগন্যালিংয়ের গলদে এই দুর্ঘটনা হয়ে থাকতে পারে। জানা গিয়েছে, প্রথমে মেন লাইনে ঢোকার জন্য সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছিল করমণ্ডল এক্সপ্রেসকে। পরে সেই সংকেত বন্ধ করা হয়। এই আবহে লুপ লাইনে ঢুকে পড়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। তাই দুর্ঘটনার আসল কারণ এখনও ঠিক ভাবে বোঝা যাচ্ছে না।

বন্ধ করুন