ভাবা যায়! এবার বিধানসভাতেও পর্ন ফিল্ম দেখার অভিযোগ। ত্রিপুরা বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক জাবাদ লাল নাথ গত মার্চ মাসে বিধানসভায় বসে পর্ন ছবি দেখছিলেন বলে অভিযোগ। বিরোধী দলনেতা অনিমেষ দেববর্মা এনিয়ে অভিযোগ তুলেছিলেন। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার বিজেপি ও তিপ্রা মোথার বিধায়কদের মধ্য়ে তুমুল হইহট্টোগোল শুরু হয়ে যায়। এরপরই এদিন পাঁচজন বিধায়ককে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, বিরোধী বিধায়করা বিধানসভাকক্ষে প্রবেশ করেই হই হট্টোগোল শুরু করে দেন। এক বিধায়ক একেবারে টেবিলের উপর উঠে দাঁড়িয়ে স্লোগান দিতে শুরু করেন। হট্টগোল থামাতে হিমসিম খান স্পিকার। এরপরই স্পিকার বিশ্ববন্ধ সেন, সিপিএম বিধায়ক নয়ন সরকার, কংগ্রেসের সুদীপ রায় বর্মন ও তিনজন তিপ্রা মোথার বিধায়ককে সাসপেন্ড করা হয়। তারা হলেন, বৃষকেতু দেববর্মা, নন্দিতা রিয়াং ও রঞ্জিত দেববর্মা। হাউসে গণ্ডগোল পাকানোর অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে। ঘটনার পরে বিরোধী দলের বিধায়করা ফের প্রতিবাদে শামিল হন।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, এদিন গোটা ঘটনায় তুমুল বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয় বিধানসভায়। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা জানিয়েছেন, বাজেট সেশনের প্রথম দিনে যা হল তা ভাবা যায় না। বিধানসভা পবিত্র জায়গা। এটি গণতন্ত্রের মন্দির। যেভাবে এই প্রতিবাদ কর্মসূচি করা হল তা পাপের।
আসলে এই গোটা ঘটনার কেন্দ্রে সেই মার্চ মাসের ঘটনা। অভিযোগ সেদিন বিধানসভা কক্ষের মধ্য়েই মোবাইলে চুপি চুপি পর্ন দেখছিলেন বিধায়ক। তবে ওই বিধায়ক পুরো ব্যাপারটি এড়িয়ে যান। উড়িয়েও দেন। তিনি দাবি করেন ফোন আসার পরেই ওরকম সব ছবি আসতে শুরু করে।
পিটিআই সূত্রে খবর, তিনি জানিয়েছিলেন, আমরা জানি যে বিধানসভার মধ্য়ে মোবাইল নিষিদ্ধ। কিন্তু সেদিন বার বার ফোন আসছিল। সেকারণে একটি ফোন ধরে ফেলি। আর তারপরই দেখি অশ্লীল সব ভিডিয়ো আসছে ফোনে। তবে তারপরেও বিতর্ক থামেনি। ওই বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সুর চড়তে থাকে। আর এদিন একেবারে তুমুল অশান্তি। বিরোধীরা তুমুল হট্টগোল শুরু করে দেন। রীতিমতো টেবিলের উপর উঠে পড়েন এক বিধায়ক। শেষ পর্যন্ত ৫জন বিরোধী বিধায়ককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। সব মিলিয়ে বিধানসভায় পর্ন কাণ্ডকে কেন্দ্র করে একেবারে তুলকালাম।