পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে হুলস্থুল কাণ্ড বাঁধে গত শুক্রবার। এর জেরে অন্তত ৩০ জন ভক্ত আহত হন বলে জানা গিয়েছে। আহতদের মধ্যে অধিকাংশই বৃদ্ধা মহিলা বলে জানা গিয়েছে। পরে আহতদের মন্দির থেকে জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসা চলে তাদের।
1/5 গত শুক্রবার চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলার সাক্ষী থাকল পুরীর জগন্নাথ মন্দির। এর জেরে পদপিষ্ট হয়ে অন্তত পক্ষে ৩০ জন ভক্ত আহত হয়েছেন বলে জানাগিয়েছে। আহত ভক্তদের সেখান থেকে উদ্ধার করে জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ভরতি করা হয় প্রায় ৩০ জনকে। সেখানে চিকিৎসা চলছে তাদের।
2/5 রিপোর্ট অনুযায়ী, শুক্রবার ভোরে মঙ্গল আরতি চলাকালীন এই হুলস্থুল কাণ্ড বাঁধে। সেই সময় জগন্নাথের মঙ্গল আরতি দেখতে উপস্থিত হয়েছিলেন বহু ভক্ত। ভিড় নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। এই আবহে ভক্তদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। তাতেই পদপিষ্ট হন অনেক ভক্ত। জানা গিয়েছে, আহতদের অধিকাংশই বিধবা বৃদ্ধা।
3/5 জানা গিয়েছে, শুক্রবার ভোরে মন্দির খোলার আগে থেকেই বহু ভক্ত উপস্থিত হয়েছিলেন মন্দিরের প্রবেশদ্বারের সামনে। সেই 'সিংহ গেট'-এ আগত ভক্তদের অনেকেই ছিলেন 'হবিষ্যালি' বা কার্তিক মাসে উপবাস পালনকারী বিধবা। এই আবহে গেট খুলে দিয়ে ভক্তদের ভিতরে প্রবেশের অনুমতি দিলে আচমকা হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়।
4/5 অভিযোগ উঠেছে, মন্দিরে নাটমণ্ডপ এবং জয়-বিজয় দ্বারের সামনে পর্যাপ্ত ব্যারিকেডের ব্যবস্থা না থাকার জেরেই এই দুর্ঘটনা ঘটে। রিপোর্ট অনুযায়ী, শুধু পদপিষ্ট হয়ে না, অনেক ভক্তই শ্বাসকষ্টে অসুস্থ হয়ে পড়েন। অনেকেই অচেতনও হয়ে পড়েন সেই সময়। এদিকে মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, পরবর্তীতে এই ধরনের ঘটনা আর ঘটবে না।
5/5 প্রসঙ্গত, গত মার্চ মাসেও এই একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল জগন্নাথ মন্দিরে। সেবারও ভক্তদের হুড়োহুড়ি লেগেছিল। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। তবে এবারের মতো সেবারে পরিস্থিতি ততটাও নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়নি। সেই ঘটনায় আহত হয়েছিলেন একজন মাত্র মহিলা ভক্ত।