মুসলিম ছাত্রীরা কলেজে হিজাব পরে আসায় তাদের ক্লাসে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠল কর্ণাটকের উডুপিতে। অভিযোগ, উডুপির এক সরকারি কলেজে ছয় পড়ুয়া হিজাব পরে যাওয়ায় নাকি তাদের ক্লাসে ঢোকার অনুমতি দেননি শিক্ষক। শুধু তাই নয়, পড়ুয়াদের অভিযোগ, হিজাব পরা পড়ুয়াদের ধাক্কা দিয়ে ক্লাস থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেন সেই শিক্ষক।
অভিযোগ, এই ছয় ছাত্রীকে হিজাব পরায় কলেজে আসার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি কার হয়েছে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে। হিজাব পরা সেই ছাত্রীদের ছবি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতে। সেখানে দেখা গিয়েছে, তারা ক্লাসের বাইরে বসে। এই বিষয়ে আলিয়া আসাদি নামক এক ছাত্রী বলেন, ‘আমরা এখনও ক্লাসের বাইরে বসে আছি। আমাদের শ্রেণীকক্ষের ভিতরে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। একদিন, আমরা ক্লাসরুমের ভিতরে গিয়েছিলাম, কিন্তু শিক্ষক আমাকে বলেন যে আমি যদি ক্লাস থেকে বের না হই তাহলে আমাকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেবেন তিনি।’
এই বিষয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি, পড়ুয়ারা কলেজের ড্রেস কোড অমান্য করেছেন। কলেজের অধ্যক্ষ রুদ্র গৌড়ার জানান, শিক্ষার্থীরা কলেজ প্রাঙ্গণে মাথায় স্কার্ফ পরতে পারেন। তবে ক্লাসরুমের ভিতরে নয়। তিনি বলেন, শ্রেণীকক্ষে অভিন্নতা নিশ্চিত করতে নিয়মটি কার্যকর করা হচ্ছে। এর আগে এই পড়ুয়াদের হিজাব পরার প্রতিবাদে একদল পড়ুয়া কলেজে আসেন গেরুয়া রঙের শাল জড়িয়ে। জানা গিয়েছে, তিন বছর আগে এমনই এক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল এই কলেজে। তখন বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে কলেজে কেউ হিজাব পরে আসবে না। তবে গত ডিসেম্বরে কয়েকজন পড়ুয়া কলেজে হিজাব পরে আসতে শুরু করায় ফের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।