২০২২-২৩ আর্থিক বছরের জন্য ২৬৮৯২.৬৭ কোটি টাকার বাজেট পেশ করল ত্রিপুরা সরকার। আর তাৎপর্যপূর্ণভাবে নতুন করে কোনও কর চাপানো হয়নি এবারের বাজেটে। অন্যদিকে গত আর্থিক বছরের তুলনায় এবারের বাজেট ১৮.৩৪ শতাংশ বেড়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে এবারের বাজেটে। তবে বাজেটে ৫৬০.৫২ কোটি টাকার ঘাটতি রয়েছে।
এদিকে ২০২৩ সালেই বিধানসভা ভোট ত্রিপুরা। তার আগে এটাই বিজেপি ও আইপিএফটি পরিচালিত ত্রিপুরা সরকারের শেষ বাজেট। আর সেই বাজেটে জনতার মন জয়ে সব রকম চেষ্টা করা হয়েছে। এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। গতবছর ত্রিপুরা সরকার ২২৭২৪.৫০ কোটি টাকার ট্যাক্স ফ্রি বাজেট পেশ করা হয়েছিল। গত বছর স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, পর্যটন ও তথ্য প্রযুক্তির উপর জোর দেওয়া হয়েছিল।
এদিকে এবার ত্রিপুরা সরকার শিল্পের উন্নতি, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ও সামাজিক সুরক্ষার উপর জোর দিয়েছে। মিশন বিদ্যাজ্যোতি স্কুলের জন্য় বরাদ্দ ৫০০ কোটি, খেলো ত্রিপুরা, সুস্থ ত্রিপুরার জন্য বরাদ্দ ৬.৫ কোটি, শিক্ষাখাতে ৫,০১০ কোটি ও জাতীয় আইন বিশ্ববিদ্যালয় তৈরিতে ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
ত্রিপুরার অর্থমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মা জানিয়েছেন, আমরা ২৬,৮৯২.৬৭ কোটি টাকার বাজেটজেট পেশ করেছি। কোনও অতিরিক্ত কর চাপানো হয়নি। কোভিড অতিমারি আমাদের অর্থনীতির উপরেও চাপ ফেলেছিল। বর্তমানে রাজ্যের জিডিপির হার ১২.১৬ শতাংশ ও পরবর্তী অর্থবর্ষে আমাদের ১৩.২৮ শতাংশ বাড়তে পারে বলে আমাদের আশা।