গাড়িটা এসে দাঁড়িয়েছিল দোরগোড়ায়। আর সেই গাড়ি থেকে যিনি নেমে আসেন তিনি আর কেউ নন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একেবারেই সাদামাটা পরিবার। সেখানে এসেছিলেন মোদী। অযোধ্যা সফরের সময়ই মীরা মাঝি নামে এক বাসিন্দার বাড়িতে আসেন মোদী। মোদী আসার আগে ঠিক কী হয়েছিল?
মীরা জানিয়েছেন, একজন অফিসার তাঁর বাড়িতে চলে আসেন। এরপর তিনি বলেন, ৩০ মিনিটের মধ্যে একজন ভিআইপি বাড়িতে আসবেন। এরপরই দ্রুত অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতে থাকেন মীরা।
আর সেই ভিআইপি আর কেউ নন। তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ওই মহিলা পিএম উজ্জ্বলা যোজনার গ্রাহক। তাঁর বাড়িতে বসে কথা বললেন, চা খেলেন মোদী।
সূত্রের খবর, এদিন মোদীর কনভয় আচমকাই রাজঘাটের মিরামপুর এলাকার একটি বাড়ির সামনে থেমে যায়। গাড়ি থেকে নামেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সঙ্গে তাঁর নিরাপত্তারক্ষীরা। প্রধানমন্ত্রী সোজা চলে যান ওই বাড়ির ভিতর।
শুধু যে বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সকলের সঙ্গে কথা বলা, তাইই নয়। তারসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শনিবার সেই বাড়িতে গিয়ে চাও পান করেন। দেখা যায়, বাড়ির মহিলা সদস্য প্রধানমন্ত্রীকে এনে দিচ্ছেন চা।
অযোধ্যায় শনিবার পৌঁছন মোদী। তাঁকে ঘিরে সকাল থেকেই ছিল সাজো সাজো রব। অযোধ্যায় এদিন মোদীর রোড শো ঘিরে ছিল বহু মানুষের ভিড়। এদিক, তারই মধ্যে নরেন্দ্র মোদী আচমকাই পৌঁছন উজ্জ্বলা যোজনার উপভোক্তা মীরার বাড়িতে। সেখানে মীরার পরিবারের সঙ্গে তিনি কথা বলেন। এই মুহূর্তে দেশে ১০ হাজার কোটি উজ্জ্বলা উপভোক্তা। তাঁদের মধ্যে ১০ হাজার কোটি তম হলেন মীরা।
এদিকে খোদ প্রধানমন্ত্রী দুয়ারে দেখেই হতবাক মীরা ও তাঁর পরিবারের অন্য় সদস্যরা। খোদ প্রধানমন্ত্রী চলে এসেছেন। প্রধানমন্ত্রী চলে যাওয়ার পরে মুখ খুলেছেন ওই মহিলা। তিনি সংবাদমাধ্যমের কাছে জানিয়েছেন, একজন অফিসার তাঁর বাড়িতে চলে আসেন। এরপর তিনি বলেন, ৩০ মিনিটের মধ্যে একজন ভিআইপি বাড়িতে আসবেন। এরপরই কিছুক্ষণ পরেই আসেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।