বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > সপ্তাহে ৩ দিন ছুটি, কমবে হাতে পাওয়া বেতন - নয়া অর্থবর্ষেই চালু হতে পারে শ্রমবিধি
সপ্তাহে ৩ দিন ছুটি, কমবে হাতে পাওয়া বেতন - নয়া অর্থবর্ষেই চালু হতে পারে শ্রমবিধি Updated: 20 Dec 2021, 05:17 PM IST Ayan Das নয়া অর্থবর্ষ থেকে দেশে কার্যকর হতে পারে নয়া লেবার কোড বা শ্রমবিধি। উচ্চপদস্থ কেন্দ্রীয় সরকারি আধিকারিককে উদ্ধৃত করে একথা জানিয়েছে সংবাদসংস্থা পিটিআই। দেখে নিন বিস্তারিত - 1/6 নয়া অর্থবর্ষ থেকে দেশে কার্যকর হতে পারে নয়া লেবার কোড বা শ্রমবিধি। কমপক্ষে ১৩ টি রাজ্যে খসড়া নিয়ম চূড়ান্ত করেছে। এক উচ্চপদস্থ কেন্দ্রীয় সরকারি আধিকারিককে উদ্ধৃত করে একথা জানিয়েছে সংবাদসংস্থা পিটিআই। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্য মিন্ট) 2/6 ওই কেন্দ্রীয় সরকারি আধিকারিককে উদ্ধৃত করে পিটিআই বলেছে, ‘আগামী অর্থবর্ষে (২০২২-২৩ অর্থবর্ষ) চারটি শ্রমবিধি চালু করা হতে পারে। কারণ বড় সংখ্যক রাজ্য এই বিষয়ে ইতিমধ্যে খসড়া নিয়ম চূড়ান্ত করে ফেলেছে। গত ফেব্রুয়ারিতেই এই শ্রমবিধির খসড়া নিয়ম চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া শেষ করে ফেলেছে কেন্দ্র। কিন্তু শ্রম রাজ্য এবং কেন্দ্রের যৌথ তালিকায় আছে, তাই রাজ্যগুলিই সেই শ্রমবিধি কার্যকর করুক - এমনটাই চাইছিল কেন্দ্র।’ (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্য মিন্ট) 3/6 নয়া শ্রমবিধিতে কী কী নিয়ম আছে? শ্রম মন্ত্রক সূত্রে খবর, নয়া শ্রমবিধিতে কর্মচারীরা সপ্তাহে তিনদিন ছুটি পেতে পারেন। সবমিলিয়ে সপ্তাহে কাজ করতে হবে। তাতে ন'ঘণ্টা থেকে ১২ ঘণ্টা শিফট করতে হতে পারে কর্মচারীদের। কোনও কর্মী যদি দৈনিক আট ঘণ্টা কাজ করেন, তাহলে তাঁকে সপ্তাহে ছ'দিন কাজ করতে হবে। যাঁরা দৈনিক ১২ ঘণ্টা কাজ করবেন, তাঁরা সপ্তাহে তিনদিন ছুটি পাবেন। সেইসঙ্গে প্রতি পাঁচ ঘণ্টা একটানা কাজের পর ৩০ মিনিটের বিরতি নেওয়া যাবে। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্য মিন্ট) 4/6 নয়া শ্রমবিধির আওতায় চাকুরীজীবীদের ‘টেক হোম স্যালারি' বা হাতে পাওয়ার বেতনের পরিমাণ কমে যেতে পারে। সংস্থাগুলিকে প্রভিডেন্ট ফান্ডে বেশি টাকা দিতে হবে। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্য ব্লুমবার্গ) 5/6 নয়া বিধি অনুযায়ী, কর্মচারীরা যে বেতন পান, তার ৫০ শতাংশের বেশি হতে হবে ‘বেসিক স্যালারি’। সেরকম হলে প্রভিডেন্ট ফান্ডের বেশি টাকা পড়বে। কিন্তু টেক হোম স্যালারি’ বা হাতে পাওয়া বেতনের পরিমাণ কমতে পারে। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্য ব্লুমবার্গ) 6/6 নয়া শ্রমবিধি যদি কার্যকর হয়, তাহলে কর্মচারীদের মাসিক ভাতা (অ্যালোয়েন্স) ৫০ শতাংশের বেশি হতে পারবে না। সেই ৫০ শতাংশের মধ্যে ট্র্যাভেল অ্যালোয়েন্স, হাউজ রেন্ট, ওভারটাইমের মতো-যাবতীয় ভাতা (অ্যালোয়েন্স) দিতে হবে। তার ফলে কর্মীদের সিটিসি বা ‘কস্ট টু কোম্পানি’-এর (যে টাকায় চুক্তি হচ্ছে) কাঠামো পরিবর্তন করতে হবে। বেতন সংক্রান্ত শ্রমবিধিতে ‘মজুরি’-র সংজ্ঞা অনুযায়ী, তিনটি বিষয় থাকবে - বেসিক পে (মূল বেতন, মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে সেটির যোগ থাকবে), মহার্ঘ ভাতা (ডিয়ারনেস অ্যালোয়েন্স বা ডিএ) এবং রিটেনশন পেমেন্ট। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্য ব্লুমবার্গ)