মহার্ঘ ভাতার দাবিতে আইনি লড়াইতে বারবার জিতেও হকের ডিএ পেতে অপেক্ষা করতে হচ্ছে রাজ্য সরকারি কর্মীদের। তবে ১১ এপ্রিল সেই অপেক্ষার অবসান ঘটতে পারে বলে আশা সরকারি কর্মীদের। এরই মাঝে মামলা নিয়ে বড় দাবি করা হল। যা ইঙ্গিত মিলছে তাতে সরকারি কর্মীদের মুখের হাসি কেউ আর কাড়তে পারবে না।
1/5 সুপ্রিম কোর্টে বারবার পিছিয়ে গিয়েছে ডিএ মামলা। তবে আগামিকাল এই মামলার চূড়ান্ত শুনানি হবে বলেই আশা করছেন সরকারি কর্মীরা। কারণ কজ লিস্টে দেখা গিয়েছে, বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চে মামলাটি উঠবে। এবার ক্রমপর্যায়ে আইটেম নম্বর ৩৭-এ রয়েছে ডিএ মামলা।
2/5 প্রসঙ্গত, এর আগে মামলাটি ৫০-এর পরের আইটেম নম্বর হিসেবে উঠেছিল। এই আবহে দিনের কাজ শেষ হলেও মামলার সুনানি শেষ পর্যন্ত আর হয়নি। এবার ডিএ মামলার সিরিয়াল নম্বর অনেকটা এগিয়ে আসায় রাজ্য সরকারি কর্মচারী আশাবাদী যে ১১ এপ্রিলই বড় রায় শোনাতে চলেছে সুপ্রিম কোর্ট। একটি এইমস সহ একাধিক হাসপাতালের উদ্বোধন, ব্রহ্মপুত্রর ওপর দিয়ে সেতুর শিলান্যাস সহ ৮৫০০ কোটি টাকার প্রকল্প সংক্রান্ত অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন মোদী। তবে সেদিনই কি আরও একটি নতুন বন্দে ভারত পাবে পূর্ব ভারত? প্রশ্ন রয়েই গিয়েছে।
3/5 প্রসঙ্গত, গতবছর ২০ মে কলকাতা হাই কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল যে তিন মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে। যে নির্দেশ কার্যকর করার জন্য নির্ধারিত সময়সীমার শেষলগ্নে এসে রিভিউ পিটিশন দাখিল করেছিল রাজ্য সরকার। যা খারিজ করে দিয়েছিল হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। ২০ মে'র রায় বহাল রেখে দেওয়া হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টে স্পেশাল লিভ পিটিশন দায়েরের করেছিল। এই প্রেক্ষিতে পঞ্চম বেতন কমিশনের বকেয়া নিয়ে চলছে এই মামলা।
4/5 এই আবহে মামলাকারী সরকারি কর্মচারী পরিষদের সভাপতি দেবাশিস শীলের দাবি, বেশ কিছু আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলে তিনি আশাবাদী যে রাজ্য সরকারের স্পেশাল লিভ পিটিশন যদি শীর্ষ আদালতের গ্রহণ করার হত, তাহলে প্রথম দিনই তা করা হত। এই আবহে রাজ্যের আবেদন খারিজ করে দেওয়া হবে বলেই আশা করছেন তিনি।
5/5 প্রসঙ্গত, রাজ্যের দায়ের করা এসএলপির প্রথম শুনানি ছিল গত ৫ ডিসেম্বর। কিন্তু সেদিন শুনানি হয়নি। এর পর আরও তিন বার শুনানির দিন পিছিয়ে অবশেষে ২১ মার্চ হবে বলে জানানো হয়। তবে সেদিনও পিছিয়ে যায় মামলার শুনানি। এরপরই মামলার শুনানির জন্য ১১ এপ্রিল দিনটি ধার্য করা হয়। এই আবহে সরকারি কর্মীরা আশাবাদী যে মঙ্গলেই সুখবর পাবেন তাঁরা।