বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > WB Govt Employees HRA Arrear: সুদ-সহ বকেয়া HRA মেটাতে হবে, হাইকোর্টে ধাক্কা খেল পশ্চিমবঙ্গ সরকার, হাতে ১ মাস
WB Govt Employees HRA Arrear: সুদ-সহ বকেয়া HRA মেটাতে হবে, হাইকোর্টে ধাক্কা খেল পশ্চিমবঙ্গ সরকার, হাতে ১ মাস Updated: 08 Apr 2024, 08:36 AM IST Ayan Das পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশের মধ্যে মহার্ঘ ভাতা (ডিয়ারনেস অ্যালোওয়েন্স বা ডিএ) নিয়ে তুমুল অসন্তোষ আছে। তারইমধ্যে ‘হাউস রেন্ট অ্যালোওয়েন্স’ (HRA) সংক্রান্ত একটি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে ধাক্কা খেল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। 1/6 এক মাসের মধ্যে সুদ-সহ বকেয়া ‘হাউস রেন্ট অ্যালোওয়েন্স’ (HRA) মিটিয়ে দিতে হবে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেজন্য এক মাসের ডেডলাইনও বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এক শিক্ষকের দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে সেই রায় দিয়েছে হাইকোর্ট। রাজ্যের যুক্তি খারিজ করে দিয়ে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে যে ওই শিক্ষককে এক মাসের মধ্যে ‘হাউস রেন্ট অ্যালোওয়েন্স’ মিটিয়ে দিতে হবে। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে রয়টার্স) 2/6 বিষয়টা ঠিক কী হয়েছিল? হুগলির একটি স্কুলের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক সুপর্ণা দাস সরকার সেই মামলা করেন। তাঁর আইনজীবী জানান, ২০০৬ সাল থেকে স্কুলে চাকরি করছেন মক্কেল। অন্যান্য রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মতোই নিয়মমতো ‘হাউস রেন্ট অ্যালোওয়েন্স’ পাচ্ছিলেন। কোনওরকম সমস্যা হয়নি। কিন্তু ২০১৬ সালের এপ্রিল থেকে সমস্যা শুরু হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় শিক্ষকের ‘হাউস রেন্ট অ্যালোওয়েন্স’। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে পিটিআই) 3/6 শিক্ষকের আইনজীবীর দাবি, ‘হাউস রেন্ট অ্যালোওয়েন্স’ বন্ধ করে দেওয়ায় শিক্ষা দফতরের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। ‘হাউস রেন্ট অ্যালোওয়েন্স’ চালু করার জন্য অন্যত্রও আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু কাজ হয়নি। পুনরায় বাড়িভাতা চালু করার জন্য হাইকোর্টে মামলা করেন শিক্ষক। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই রাজ্যকে ওই শিক্ষকের ‘হাউস রেন্ট অ্যালোওয়েন্স’ মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে রয়টার্স) 4/6 যদিও রাজ্য সরকারের আইনজীবী দাবি করেন, স্বামী এবং স্ত্রী'র দু'জনেই চাকরি করলে ‘হাউস রেন্ট অ্যালোওয়েন্স’ পাওয়া যায় না। এমনকী স্বামী এবং স্ত্রী'র মধ্যে যদি কেউ একজন বেসরকারি চাকরি করেন, তাহলেও অপরজনকে ‘হাউস রেন্ট অ্যালোওয়েন্স’ প্রদান করা যায় না বলে যুক্তি দর্শান রাজ্য সরকারের আইনজীবী। ২০১২ সালে সেই সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করেছিল রাজ্য সরকার। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে এএফপি) 5/6 পালটা শিক্ষকের আইনজীবী দাবি করেন, রাজ্য সরকারের তরফে যে নির্দেশিকা দেখিয়ে তাঁর মক্কেলের ‘হাউস রেন্ট অ্যালোওয়েন্স’ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে, সেটা এখন ভিত্তিহীন হয়ে গিয়েছে। বরং সেই বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতির স্পষ্ট নির্দেশিকা আছে। সেই নির্দেশ উপেক্ষা করেই রাজ্য সরকার অনেকের ‘হাউস রেন্ট অ্যালোওয়েন্স’ বন্ধ করে রেখেছে। ঠিক যে কাজটা তাঁর মক্কেলের ক্ষেত্রে করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন আইনজীবী। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে এএফপি) 6/6 সেই সওয়াল-জবাবের প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু স্পষ্ট জানিয়ে দেন, স্বামী এবং স্ত্রী'র মধ্যে যদি কেউ একজন বেসরকারি চাকরি করেন, তাহলেও অপরজনের ‘হাউস রেন্ট অ্যালোওয়েন্স’ বন্ধ করতে পারবে না রাজ্য সরকার। সেটা পুরোপুরি আইন-বিরোধী। তাই তাঁর ‘হাউস রেন্ট অ্যালোওয়েন্স’ দিতে হবে। আর সুপর্ণার ক্ষেত্রে রাজ্যকে এক মাসের মধ্যে সুদ-সহ বকেয়া ‘হাউস রেন্ট অ্যালোওয়েন্স’ মেটানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি বসু। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে ফেসবুক)