গত জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া ডিএ আন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করেছিল গত ফেব্রুয়ারি এবং মার্চ মাসে। দিল্লিতে গিয়েও ধরনা দিয়ে এসেছিলেন ডিএ আন্দোলনকারীরা। তবে মাঝে সেই আন্দোলনের ঝাঁঝ যেন কিছুটা চলে গিয়েছিল। তবে পুজোর আগে ফের একবার আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়িয়ে কর্মবিরতির ডাক সরকারি কর্মীদের।
1/5 জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছিল ডিএ আন্দোলন। শহিদ মিনারের পাদদেশে তাঁবু খাটিয়ে চলেছিল দীর্ঘ অনশন। বছরের শুরুর মাসগুলিতে পরপর কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিলেন সরকারি কর্মীরা। তবে তাতে কোনও সমাধানসূত্র বেরিয়ে আসেনি। এই আবহে দিল্লিতে গিয়েও আন্দোলন করে এসিছিলেন যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের সদস্যরা। তবে রাজ্য সরকার তাতেও টলেনি। এই আবহে পুজোর আগে নতুন করে আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়াতে চলেছেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সদস্যরা। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে এএনআই)
2/5 মঙ্গল এবং বুধবার অর্থাৎ ১০ এবং ১১ অক্টোবর কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে যৌথ সংগ্রামী মঞ্চ। তবে শুধু ডিএ নয়, সঙ্গে আরও তিনটি দাবিতেই এই কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় হারে ডিএ ছাড়াও আন্দোলনকারীদের দাবি - রাজ্য সরকারি প্রতিষ্ঠানের শূন্যপদে স্বচ্ছ ও স্থায়ী নিয়োগ করতে হবে, প্রতিহিংসামূলক বদলি অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে, যোগ্য অস্থায়ী কর্মচারীদের স্থায়ী পদে নিয়োগ করতে হবে।
3/5 এর আগে গত ২৫ সেপ্টেম্বর এই চার দাবি জানিয়েই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসেকর সঙ্গে রাজভবনে গিয়ে দেখা করেছিলেন যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের সদস্যরা। লিখিত আকারে নিজেদের যাবতীয় দাবি সিভি আনন্দ বোসের কাছে জমা দিয়ে এসেছিলেন তাঁরা। পরে ২৭ সেপ্টেম্বর এই দু’দিনের কর্মবিরতির কথা ঘোষণা করেছিলেন সরকারি কর্মীরা। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে পিটিআই)
4/5 এই কর্মবিরতি প্রসঙ্গে যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের আহ্বায়ক এবং এই আন্দোলনের অন্যতম 'মুখ' ভাস্কর ঘোষ বলেন, 'পুজোর সময় কেন্দ্রীয় সরকার আরও এক দফায় ডিএ বৃদ্ধি করার কথা ভাবছে। সে ক্ষেত্রে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের ডিএ-র পার্থক্য বেড়ে দাঁড়াবে প্রায় ৪০ শতাংশ। সেই ডিএ-র দাবিতেই আমরা কর্মবিরতির ডাক দিয়েছি।' (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে পিটিআই)
5/5 এর আগে গত ১৩, ২০, ২১ ফেব্রুয়ারি, ১০ মার্চ, ৬ এপ্রিল কর্মবিরতি পালন করেছিলেন সরকারি কর্মীরা। এই কর্মবিরতিতে অংশ নেওয়া শিক্ষক এবং অন্যান্য সরকারি কর্মীদের বিরুদ্ধে সরকার 'প্রতিহিংসামূলক আচরণ' করছে বলেও অভিযোগ যৌথ মঞ্চের। এই আবহে যে সকল সরকারি কর্মীদের বদলি করা হয়েছে, তাদের আগের জায়গায় ফেরানোর দাবি জানানো হয়েছে ডিএ আন্দোলনকারীদের তরফে। এদিকে তৃণমূল সমর্থিত পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন সংগঠনের তরফে এই কর্মবিরতির কর্মসূচির তীব্র বিরোধিতা করা হচ্ছে। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে পিটিআই)