বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > 7th Pay Commission: সপ্তম বেতন কমিশনের সুখবর না পেলেও এল আশ্বাসবাণী! মুখে হাসি ফুটবে সরকারি কর্মীদের
7th Pay Commission: সপ্তম বেতন কমিশনের সুখবর না পেলেও এল আশ্বাসবাণী! মুখে হাসি ফুটবে সরকারি কর্মীদের Updated: 15 Jan 2024, 11:28 AM IST Abhijit Chowdhury সপ্তম বেতন মিশন গঠন করা হয়েছিল বেশ কয়েক মাস আগে। সেই কমিশন রিপোর্টও তৈরি করে ফেলেছে। তবে কমিশনের মেয়াদ বৃদ্ধি করে রিপোর্ট প্রকাশ বা তা কার্যকর করা থেকে বিরত থেকেছে রাজ্য সরকার। তবে এরই মাঝে সরকারি কর্মীদের সঙ্গে দেখা করে নাকি সুখবর জানিয়েছে সরকার। 1/7 কর্ণাটক রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সংগঠনের সভাপতি সিএ সদাকশরি দাবি করেন, রাজ্য সরকার অ্যাসোসিয়েশনকে আস্বস্ত করে জানিয়েছে যে শীঘ্রই। বাজেট এবং লোকসভা ভোটের আগে সপ্তম বেতন কমিশন নিয়ে কর্ণাটকের কর্মীরা সুখবর শোনেননি। তবে ওপিএস নিয়ে মিলেছে কিছুটা স্বস্তি। রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০০৬ সালের আগে কাজে যোগ দেওয়া কর্মীদের ওপিএস-এ যোগ দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে। 2/7 এই নিয়ে সরকারি কর্মীদের সংগঠনের তরফ থেকে বিবৃতি প্রকাশ করে বলা হয়, ২০০৬ সালের এপ্রিল বা তার আগে সরকারি কাজে যোগ দেওয়া কর্মীদের ওপিএস-এর অধীনে আনার বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার নির্দেশিকা জারি করেছে। বহু রাজ্যে ইতিমধ্যেই তা কার্যকর করা হয়েছে। আমাদের রাজ্যে এখন এই ধরনের ১১ হাজার ৩৩৬ জন ওপিএস-এর অধীনে যেতে চায়। এই আবহে আমাদের রাজ্য সরকার আস্বস্তি করেছে, এই কর্মীদের ওপিএস-এর অধীনে নিয়ে আসা হবে। 3/7 বিগত বেশ কয়েক মাস ধরে জাতীয় পেনশন স্কিম এবং পুরোনো পেনশন ব্যবস্থা নিয়ে রাজনীতি চলছে দেশে। বহু ক্ষেত্রেই সরকারি কর্মীরা পুরনো ব্যবস্থা চালু করার দাবি করেছে। কিন্তু নতুন পেনশন স্কিম নিয়ে কেন আপত্তি সরকারি কর্মীদের? কেন এত আন্দোলন, বিক্ষোভ, প্রতিবাদ? পুরনো আর নতুন পেনশন স্কিমের পার্থক্য কোথায়? সরকারি কর্মীদের বক্তব্য, এনপিএস-এর অধীনে অবসর গ্রহণের পরে তাদের ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তিত তারা। 4/7 এনপিএস বনাম ওপিএস: দুই পেনশন নীতির ফারাক কোথায়? কত টাকা জমানো হয়েছে, কত বছরে চাকরিতে যোগ দিয়েছেন, কী ধরনের বিনিয়োগ করা হয়েছে, বিনিয়োগ থেকে কত আয় হয়েছে - এই সমস্ত বিষয়গুলির উপর নয়া পেনশন প্রকল্প নির্ভর করে। সেখানে পুরনো ব্যবস্থায় শেষ পাওয়া বেতনের ৫০ শতাংশ পেনশন পাওয়া যায়। যা নির্ধারিত ছিল। সেইসঙ্গে অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাও মিলত এতে। 5/7 এদিকে নয়া পেনশন প্রকল্পের আওতায় নিজের কর্মজীবনে যে পরিমাণ অর্থ সঞ্চয় করেন কর্মচারীরা, অবসরের সময় সেটার ৬০ শতাংশ টাকা তোলা যায়। যে টাকা তুললে কর দিতে হয় না। বাকি ৪০ শতাংশ অ্যানুইটিতে বিনিয়োগ করা হয়। প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী, শেষ যে বেতন তুলেছিলেন সরকারি কর্মচারী, সেটার ৩৫ শতাংশের মতো পেনশন বাবদ পাওয়া যায়। তবে সেটা যে মিলবে, এমন কোনও নিশ্চয়তা নেই। কারণ পুরোটাই বাজারের উপর নির্ভর করে। 6/7 সরকারি কর্মীদের একাংশের বক্তব্য, পুরনো পেনশন প্রকল্পে কোনও ঝুঁকি নেই। নয়া পেনশন প্রকল্পে ঝুঁকি আছে। যদিও অপর অংশের বক্তব্য, ন্যাশনাল পেনশন স্কিম যে বাজার-নির্ভর, তা ঠিক। কিন্তু দীর্ঘকালীন ক্ষেত্রে তাতে বেশি লাভবান হবেন কর্মীরা। তবে ঝুঁকি নিতে নারাজ অধিকাংশ সরকারি কর্মী। এই আবহে একাধিক রাজ্যে পুরনো পেনশন প্রকল্প ফিরিয়ে আনার পক্ষে দাবি ক্রমশ জোরালো হচ্ছে। 7/7 এর আগে ২০০৩ পর্যন্ত বাজেট বরাদ্দ থেকে অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের পেনশন দিল সরকার। তবে বাজপেয়ী জমানায় চালু হয় ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেম। ২০০৪ সালের ১ এপ্রিল থেকে চালু হয় এনপিএস। এই নয়া ব্যবস্থায় সরকারের আর্থিক বোঝা হালকা হয়। প্রাথমিক ভাবে শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ক্ষেত্রেই এটা প্রযোজ্য ছিল। পরবর্তীতে সব রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য তা প্রযোজ্য হয়। তবে বিগত কয়েক বছরে কিছু রাজ্যে নতুন করে চালু হয় ওপিএস।