ভূগর্ভস্থ জল ব্যবহারের ক্ষেত্রে সরকারি অনুমোদন লাগে। তবে দেশের ২০টি ক্রিকেট স্টেডিয়াম নাকি কোনও অনুমতি ছাড়াই ভূগর্ভস্থ জল ব্যবহার করছে তাদের মাঠে। এই তালিকায় রয়েছে কলকাতার ইডেন গার্ডেন্স, দিল্লির অরুণ জেঠলি স্টেডিয়ামও। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার এই তথ্য প্রকাশ করেছে।
1/5 জানা গিয়েছে, সাম্প্রতিককালে জলের ব্যবহারের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে দেশের ২৬টি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। সেই সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে, দেশের ২০টি ক্রিকেট স্টেডিয়াম বিনা অনুমতিতেই বোরওয়েল বা টিউবওয়েল থেকে ভূগর্ভস্থ জল ব্যবহার করছে। এর জন্য প্রয়োজনীয় নো অবজেকশন সার্টিফিকেট নেই সংশ্লিষ্ট ক্রিকেট সংস্থাগুলির কাছে।
2/5 ক্রিকেট স্টেডিয়ামগুলির জল ব্যবহার নিয়ে রিপোর্ট ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনালের কাছে জমা দিয়েছে কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রক। কেন্দ্রের জমা দেওয়া তালিকায় রয়েছে কলকাতার ইডেন গার্ডেন্স, দিল্লির অরুণ জেঠলির মতো স্টেডিয়াম। উল্লেখ্য, সম্প্রতি ক্রিকেট মাঠে ভূগর্ভস্থ জলের ব্যবহারের বিরোধিতায় ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনালে একটি আবেদন জমা পড়েছিল।
3/5 ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনালে জমা পড়া আবেদন অনুযায়ী, বর্জ্য শোধনাগার বা 'রেন ওয়াটার হার্ভেস্টিং'-এর মাধ্যমে যে জল পাওয়া যায়, তা দিয়েই ক্রিকেট মাঠের রক্ষণাবেক্ষণ করা উচিত। এই ধরনের ব্যবস্থা না থাকলে যেন ক্রিকেট স্টেডিয়ামগুলি ভূগর্ভস্থ জলের ব্যবহার না করে। আবেদনে অভিযোগ করা হয়েছে, এর জেরে সাধারণ মানুষের পানীয় জলের অভাব দেখা দেয়।
4/5 এদিকে আইপিএল ম্যাচ নিয়েও অভিযোগ জানানো হয়েছে সেই আবেদনে। বলা হয়েছে, বাণিজ্যিক এবং বিনোদনের কারণে আইপিএল ম্যাচগুলির জন্য ক্রিকেট মাঠে বিপুল পরিমাণ জল ব্যবহার করা হয়। তবে জল সংরক্ষণের দিকে কোনও নজর দেওয়া হয় না। গত মার্চ মাসে জমা পড়া এই আবেদনের প্রেক্ষিতে ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনাল রিপোর্ট তলব করেছিল কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রকের কাছে।
5/5 ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনাল রিপোর্ট তলব করার পরই কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রকের তরফে দেশের ২৬টি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ইনস্পেকশন চালানো হয়েছিল। দেখা যায়, এর মধ্যে ২৪টি স্টেডিয়ামেই বোরওয়েল বা টিউবওয়েল আছে। তা থেকেই মাঠের জন্য ভূগর্ভস্থ জল ব্যবহার করা হয় সেখানে। আর এই ২৪টির মধ্যে মাত্র চারটি স্টেডিয়ামের কাছে সরকারের নো অবজেকশন সার্টিফিকেট রয়েছে। বাকি ২০টি স্টেডিয়ামই এনওসি ছাড়া ভূগর্ভস্থ জল ব্যবহার করে যাচ্ছে। এই আবহে এই স্টেডিয়ামগুলিকে শোকজ নোটিশ পাঠিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে, কেন তাদের থেকে জরিমানা নেওয়া হবে না।