বিগত কয়েক বছরে অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কের বহু ক্রেডিট কার্ড গ্রাহক নাকি অভিযোগ করেছেন, জালিয়াতরা তাদের কার্ডে ভিনদেশে লেনদেন করেছে বা করার চেষ্টা করেছে। এই নতুন ধরনের জালিয়াতিকে 'বিন অ্যাটাক' আখ্যা দেওয়া হচ্ছে।
1/5 অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কের গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টের টাকা খরচ করে বিদেশে লেনদেন করছে জালিয়াতরা। বিগত কয়েক বছরে এই ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনার কথা সামনে এসেছে। অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক এই জালিয়াতির বিষয়টি স্বীকার করেছে। জানা গিয়েছে, গ্রাহকদের কার্ডের 'ব্যাঙ্ক আইডেন্টিফিকেশন নম্বর' হাতিয়ে নিয়ে এই জালিয়াতি করা হচ্ছে।
2/5 এদিকে গ্রাহকদের এই বিষয়ে অভয় প্রদান করেছে অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক। তাদের বক্তব্য, যেহেতু এই জালিয়াতিতে গ্রাহকদের কার্ডের তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে, তাই যে টাকা খোয়া গিয়েছে, তা আবার ফিরিয়ে আনা সম্ভব। পাশাপাশি ব্যাঙ্কের তরফ থেকে এও দাবি করা হয়েছে যে তাদের ডেটাবেসের নিরাপত্তা কোনও ভাবেই ভেদ করতে পারেনি জালিয়াতরা।
3/5 এদিকে বিন অ্যাটাকের ঘটনার কথা স্বীার করলেও অ্যাক্সিসের কতজন গ্রাহক এর শিকার হয়েছে, তা খোলসা করে বলেনি কর্তৃপক্ষ। তবে তাদের কথায়, বিন অ্যাটাকে আক্রান্ত অ্যাক্সিসের গ্রাহক সংখ্যা 'খুবই সামান্য'। এই আবহে সার্বিক ভাবে ব্যাঙ্কের তরফ থেকে কোনও নির্দেশিকা বা পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে না গ্রাহকদের। বরং প্রতিটি অভিযোগের ভিত্তিতে পদক্ষেপ করার কথা জানানো হয়েছে অ্যাক্সিসের তরফ থেকে।
4/5 তবে এই বিন অ্যাটাক আদতে কী? এই ধরের আর্থিক জালিয়াতর জন্যে সাইবার অপরাধীরা 'তুক্কা লাগায়'। ব্যাঙ্ক আইডেন্টিটি নম্বর হল কোনও ক্রেডিট কার্ড বা ডেবিট কার্ডের প্রথম ৬টি সংখ্যা। এই আবহে 'বিন' ব্যবহার করে কার্ডের বাকি সংখ্যাগুলির বিভিন্ন নম্বরের সঙ্গে সিভিভি নম্বরের 'কম্বিনেশন' জুড়ে এই জালিয়াতি করে থাকে সাইবার অপরাধীরা।
5/5 এই আবহে অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কের প্রেসিডেন্ট সঞ্জীম মোঘে টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে বলেন, 'এই ধরনের বেশ কিছু জালিয়াতি লেনদেন আমাদের নজরে পড়েছে। তবে এর জন্যে খুব কম সংখ্যক কার্ডহোল্ডাররাই আক্রান্ত হয়েছেন। যে আন্তর্জাতিক মার্চেন্টদের এখানে এই ধরনের লেনদেন হয়েছে, আমরা তাদের ব্লক করে দিয়েছি।'