বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > Chandrayaan 3: শেষ 'সুযোগ', তাও চাঁদে বিক্রম ও প্রজ্ঞান নিয়ে 'আশা ছাড়েননি' ইউআর রাও স্যাটেলাইট সেন্টারের ডিরেক্টর
Chandrayaan 3: শেষ 'সুযোগ', তাও চাঁদে বিক্রম ও প্রজ্ঞান নিয়ে 'আশা ছাড়েননি' ইউআর রাও স্যাটেলাইট সেন্টারের ডিরেক্টর Updated: 05 Oct 2023, 01:52 PM IST Abhijit Chowdhury আশা যে খুবই কম, তা আগে থেকেই জানিয়ে রেখেছিল ইসরো। তাও চাঁদের মাটিতে ঘুমন্ত বিক্রম ও প্রজ্ঞানের জেগে ওঠার আশায় বুক বেঁধেছিল ভারত। তবে ফের চাঁদের দক্ষিণ মেরুর বুকে নেমেছে আঁধার। ঘুম ভাঙেনি চন্দ্রযান ৩-এর ল্যান্ডার ও রোভারের। আর কি আশা আছে বিক্রম ও প্রজ্ঞানের ঘুম ভাঙার? 1/6 ২২ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়েছে প্রজ্ঞান ও বিক্রমের ঘুম ভাঙানোর চেষ্টা। তবে গত ১৪ দিনে ইসরোর বিজ্ঞানীদের ডাকে সাড়া দেয়নি চন্দ্রযানের ল্যান্ডার ও রোভার। ইসরোর বিজ্ঞানীরা অবশ্য জানিয়েছিলেন, চন্দ্রযানের ল্যান্ডার ও রোভার জেগে উঠলে তা 'বোনাস' হবে। তবে সেই বোনাস পায়নি ভারত। তবে এবারে না হলেও পরের বার দক্ষিণ মেরুর 'দিনের বেলায়' ঘুম ভাঙতে পারে বিক্রম ও প্রজ্ঞানের? 2/6 টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে ইউআর রাও স্যাটেলাইট সেন্টারের ডিরেক্টর এম শঙ্করন বলেন, 'ল্যান্ডার ও রোভার এবারে ঘুম থেকে ওঠেনি। পরে আবার যখন চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সূর্যের আলো পড়তে শুরু করবে, তখনও তাদের প্রজ্ঞান ও বিক্রমের ঘুম ভাঙার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। তবে আমরা এখনও সেই আশা ছেড়ে দিচ্ছি না।' 3/6 প্রসঙ্গত, গত ২৩ অগস্ট চাঁদে অবতরণের পর ২ সেপ্টেম্বর রোভারকে 'ঘুম' পাড়িয়ে দেয় ইসরো। এদিকে গত ৪ সেপ্টেম্বর চন্দ্রযান ৩-এর ল্যান্ডার বিক্রমকেও 'ঘুম' পাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। ইসরোর তরফে জানানো হয়, রোভারের পাশেই 'ঘুমিয়ে' পড়ে ল্যান্ডার। তবে এর রিসিভার চালু রাখা হয়েছিল। তবে সূর্যাস্তের পর চাঁদের দক্ষিণ মেরুর তাপমাত্রা হু হু করে নেমে যায়। হিমাঙ্কের নীচে প্রায় ২০০ ডিগ্রি পর্যন্ত পৌঁছে যায় পারদ। এই আবহে বিজ্ঞানীদের আশা ছিল, দক্ষিণ মেরুতে তাপমাত্র বাড়লে ফের সচল হয়ে উঠতে পারে প্রজ্ঞান ও বিক্রম। 4/6 ল্যান্ডার এবং রোভারের 'ঘুম' না ভাঙলেও হতাশ হওয়ার কিছু নেই বলে মত ইসরোর। কারণ যা যা কাজ ছিল, সেটার পুরোটাই সেরে ফেলেছে ল্যান্ডার ও রোভার। বিক্রমে রয়েছে 'চন্দ্র সারফেস থার্মো-ফিজিকাল এক্সপেরিমেন্ট' বা ChaSTE নামক একটি পেলোড। যা চাঁদের তাপমাত্রা খতিয়ে দেখেছে। তাছাড়া বিক্রমে রয়েছে লুনার সেসমিক অ্যাক্টিভিটি প্রোব বা ILSA নামক একটি পেলোড। এই ইলসা-র সেন্সর মহাজাগতিক গতিবিধির ওপর লক্ষ্য রেখেছে। এছাড়া বিক্রমে রয়েছে লেজার রেট্রোরিফ্লেক্টর অ্যারে, রেডিও অ্যানাটমি অফ মুন বাউন্ড হাইপারসেনসিটিভ আয়নস্ফিয়ার অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফিয়ার বা 'রম্ভা'। রম্ভা চাঁদের মাটিতে থাকা প্লাজমার ঘনত্ব মেপছে। 5/6 ভারতের মহাকাশ বিজ্ঞান গবেষণা সংস্থার তরফে জানানো হয়, ঘুমোতে যাওয়ার আগে সফল ভাবে 'হপ এক্সপেরিমেন্ট' সম্পন্ন করেছে বিক্রম। অর্থাৎ, চাঁদের মাটি থেকে লাফিয়ে উঠে দ্বিতীয়বারের জন্য সফল ভাবে সফট ল্যান্ডিং বা অবতরণ করল বিক্রম। ল্যান্ডারকে প্রায় ৪০ সেন্টিমিটার উচ্চতায় ওড়ানো হয়। লাফ দিয়ে আগের জায়গায় থেকে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ সেন্টিমিটার দূরে সফল ভাবে অবতরণ করে বিক্রম। এই সাফল্যের সুদূরপ্রসরিত তাৎপর্য রয়েছে, যা নিয়ে আভাস দিয়েছে ইসরো। 6/6 প্রজ্ঞানও অনেক ছোটাছুটি করেছে চাঁদে। চন্দ্রযান ৩-এর রোভারটি চাঁদে অক্সিজেন, সালফারের মতো বিভিন্ন পদার্থ থাকার কথা জানিয়েছে। প্রজ্ঞানে থাকা LIBS এবং APXS পেলোডগুলি অনবরত কাজ করে গিয়েছিল। এদিকে প্রজ্ঞানের সঙ্গে রয়েছে একাধিক স্বয়ংক্রিয় ক্যামেরা। সেই ক্যামেরা দিয়েই চাঁদের মাটির ছবি পাঠিয়েছে প্রজ্ঞান। আর সেই ক্যামেরা দিয়েই নিজের বাহন বিক্রমেরও ছবি তুলে পাঠায় প্রজ্ঞান।