চন্দ্রযান ৩-এর ল্যান্ডার বিক্রম যখন চাঁদের মাটিতে পা রেখেছিল সেই সময় দক্ষিণ আফ্রিকায় ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখান থেকেই ভার্চুয়ালি ইসরোর বিজ্ঞানীদের উৎসাহ দিয়েছিলেন তিনি। আর আজ দেশের মাটিতে পা রেখেই প্রথমে ইসরোর মিশন কমপ্লেক্সে গেলেন প্রধানমন্ত্রী।
1/5 আজ ইসরোর মিশন কমপ্লেক্সে বিজ্ঞানীদের সঙ্গে দেখা করে চাঁদের দু'টি জায়গার নামকরণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। চাঁদের যেখানে চন্দ্রযান ৩-এর ল্যান্ডার বিক্রম অবতরণ করে, সেই জায়গার নাম মোদী রাখলেন 'শিব শক্তি'। এদিকে চন্দ্রযান ৩-এর সাফল্যে চন্দ্রযান ২-এর প্রচেষ্টাকে ভোলেননি মোদী। চাঁদের যেখানে চন্দ্রযান ২-এর ল্যান্ডার ভেঙে পড়েছিল। সেই জায়গার নাম 'তিরঙ্গা' রাখলেন মোদী।
2/5 উল্লেখ্য, গত ২৩ অগস্ট সন্ধ্যা পৌনে ছ'টা নাগাদ চাঁদের মাটিতে অবতরণ প্রক্রিয়া শুরু করেছিল চন্দ্রযান ৩-এর ল্যান্ডার বিক্রম। চাঁদে পৌঁছাতে ৪০ দিনের মতো লাগে ভারতের মহাকাশযানের। ২৩ অগস্ট ভারতীয় সময়, সন্ধ্যা ৬টা ৪ মিনিটে চাঁদের মাটি স্পর্শ করে বিক্রম। চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে অবতরণ করে বিক্রম। প্রথম দেশ হিসেবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পা রাখল কোনও দেশ।
3/5 ইসরো জানায়, চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে ৭০ ডিগ্রি দ্রাঘিমাংশে অবতরণ করে বিক্রম। এই এলাকাটি চাঁদের দক্ষিণ মেরু থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। আর এই জায়গটারই নতুন নাম রাখলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। এখন থেকে চাঁদের এই জায়গাটা 'শিব শক্তি' নামে পরিচিত হবে। এদিকে এর আগে ২০১৯ সালে যে জায়গয় চন্দ্রযান ২-এর ল্যান্ডার ভেঙে পড়েছিল সেই জায়গার নাম হবে 'তিরঙ্গা'।
4/5 এদিকে অবতরণের পর ২৩ অগস্টই বিক্রম থেকে বেরিয়ে এসেছে রোভার 'প্রজ্ঞান'। ইসরোর তরফে জানানো হয়েছিল, অভিযানের পরবর্তী পর্যায়ের কাজ শুরু করে দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এই আবহে আগামী কয়েকদিনে চাঁদের মাটি থেকে নমুনা সংগ্রহ করবে প্রজ্ঞান। এদিকে বিক্রমের অবতরণের জেরেই সেই এলাকায় ধুলো ঝড় হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। তাই কিছুক্ষণ পরে প্রজ্ঞান বেরিয়ে আসে। গতকাল সন্ধ্যায় এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে ইসরো জানিয়েছে, প্রজ্ঞান চাঁদের মাটিতে ৮ মিটার এগিয়েছে।
5/5 পাশাপাশি ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে, প্রজ্ঞানে থাকা LIBS এবং APXS পেলোডগুলি সচল করা হয়েছে। প্রোপালশান মডিউল এবং ল্যান্ডারে থাকা বাকি পেলোডগুলিও সঠিক ভাবে কাজ করছে বলে জানিয়েছে ইসরো। চাঁদের মাটিতে প্রজ্ঞানের গতিবিধিও স্বাভাবিক রয়েছে। এরই মধ্যে চাঁদের মাটিতে ঘুরে ঘুরে পরীক্ষা চালিয়ে যাবে চন্দ্রযান ৩-এর রোভার।