বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > CM on 7th Pay Commission: সরকারি কর্মীদের DA বৃদ্ধি নিয়ে উত্তাল বিধানসভা, সপ্তম বেতন কমিশন নিয়ে মুখ খুললেন CM
CM on 7th Pay Commission: সরকারি কর্মীদের DA বৃদ্ধি নিয়ে উত্তাল বিধানসভা, সপ্তম বেতন কমিশন নিয়ে মুখ খুললেন CM Updated: 08 Dec 2023, 12:47 PM IST Abhijit Chowdhury রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ এবং বেতন বৃদ্ধির ইস্যু নিয়ে বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে জোর সওয়াল করলেন বিরোধীরা। এই আবহে মুখ্যমন্ত্রী নয়া বেতন কমিশন নিয়ে মুখ খুললেন। বিরোধীদের দাবি ছিল, সরকারি কর্মীদের দাবি মেনে নিয়ে সপ্তম বেতন কমিশন কার্যকর করা উচিত রাজ্যে। সেই দাবির প্রেক্ষিতে জবাব দেন মুখ্যমন্ত্রী। 1/8 কর্ণাটকের সরকারি কর্মচারীরা দীর্ঘদিন ধরেই বেতন এবং ডিএ-র হার সংশোধনের দাবি তুলে আসছেন। এই আবহে বিগত বিজেপি সরকারের আমলেই প্রাক্তন আমলা সুধাকর রাওয়ের সভাপতিত্বে সপ্তম রাজ্য বেতন কমিশনের গঠন করা হয়েছিল। সেই কমিটির মেয়াদ দ্বিতীয় দফায় বাড়িয়েছে বর্তমান সরকার। এই আবহে কমিশনের মেয়াদ ২০২৪ সালের ১৫ মার্চ করা হয়েছে। এই সয়সীমা বৃদ্ধি নিয়ে বিধানসভা উত্তাল হয় গতকাল। সরকারকে তোপ দাগে বিরোধী বিজেপি এবং জেডিএস। 2/8 সরকারি কর্মচারীদের জন্য সপ্তম রাজ্য বেতন কমিশনের রিপোর্ট বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা হয় বেলগাওঁতে অনুষ্ঠিত শীতকালীন অধিবেশনে। গতকাল সেই ইস্যুতে আলোচনা চলাকালীনই বিজেপি এবং জেডিএস সদস্যরা সপ্তম বেতন কমিশনের রিপোর্ট পেশ করে তা কার্যকর করার দাবিতে বিধান পরিষদে বিক্ষোভ দেখান। এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী তথা সেই রাজ্যের অর্থমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া বলেন, আপাতত সরকারি নির্দেশে কমিশনের মেয়াদ বৃদ্ধি হয়েছে। মেয়াদ শেষে কমিশন রিপোর্ট পেশ করলে তা খতিয়ে দেখে সরকারি কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। 3/8 উল্লেখ্য, গত নভেম্বরেই মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছিল সপ্তম বেতন কমিশনের। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, কর্ণাটকের রাজ্যপাল অর্থ বিভাগের যুগ্ম সচিব সপ্তম রাজ্য বেতন কমিশনের মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে একটি আদেশ জারি করেছেন। এই নিয়ে কর্ণাটকের কংগ্রেস সরকার সপ্তম পে কমিশনের মেয়াদ দ্বিতীয় বারের জন্য বাড়ায়। 4/8 যখন বিজেপি সরকার কর্ণাটকে ক্ষমতায় ছিল, এবং বাসভরাজ বোম্মাই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, তখন রাজ্য সরকারী কর্মচারীদের বেতন স্কেল সংশোধন করতে এবং নতুন বেতন কাঠামো ইত্যাদি প্রণয়নের লক্ষ্যে সপ্তম রাজ্য বেতন কমিশন গঠন করা হয়েছিল। ২০২২ সালের ১৯ নভেম্বর সেই কমিশন গঠিত হয়েছিল। আর সেই কমিশনের রিপোর্ট পেশ হওয়ার কথা ছিল এই মাসে। 5/8 এই আবহে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। তাঁরা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, এর আগে সিদ্দারামাইয়া মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীনই ৮ মাসের মধ্যে ষষ্ঠ বেতন কমিশনের রিপোর্ট পেশ হয়েছিল। তবে এবার পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে। এই আবহে সরকারি কর্মীদের প্রশ্ন, এবার কেন সপ্তম বেতন কমিশনের মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে? উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৭ সালের ১ জুন মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন ষষ্ঠ বেতন কমিশন গঠন করেছিলেন সিদ্দারামাইয়া। ২০১৮ সালের ৩১ মার্চ সেই কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী, বেতন সংশোধন করেছিল সরকারি কর্মীদের। 6/8 উল্লেখ্য, কর্ণাটক সরকার এই নভেম্বরেই সপ্তম রাজ্য বেতন কমিশনের রিপোর্ট গ্রহণ করবে বলে আশা করা হয়েছিল। কিন্তু বেতন কমিশনের মেয়াদ ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। তাই বেতন সংশোধনের আশায় থাকা সরকারি কর্মচারীরা হতাশ হয়েছেন। এর আগে ২৯ সেপ্টেম্বর বেতন কমিশনের চেয়ারম্যান সুধাকর রাও এবং অর্থমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া বৈঠক করেছিলেন। তাই নভেম্বরেই কমিশন রিপোর্ট জমা দেবে বলে আশা করা হচ্ছিল। 7/8 প্রসঙ্গত, বর্তমানে কর্ণাটকের রাজনৈতিক চিত্র ভিন্ন। কর্ণাটক কংগ্রেস রাজ্যের মানুষকে পাঁচটি গ্যারান্টি দিয়ে রাজ্যে ক্ষমতায় এসেছিল। এর মধ্যে সরকার ৪টি প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তার জন্যেই এসব প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দের জন্য অঙ্ক কষে চলেছেন সিদ্দারামাইয়া। এখন যদি সপ্ততম বেতন কমিশনের রিপোর্ট গ্রহণ করা হত, তাহলে সরকারি কর্মীদের বেতন সংশোধন করা সম্ভব হবে না সিদ্দারমাইয়ার পক্ষে। 8/8 সপ্তম রাজ্য বেতন কমিশনের রিপোর্ট গৃহীত হলে, সরকারি কর্মচারীদের বেতন সংশোধন শুরু করতে হবে। এতে সরকারের ওপর প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকার বোঝা চাপবে বলে মনে করা হচ্ছে। তাই কমিশনের মেয়াদ মার্চ পর্যন্ত বাড়িয়েছে সরকার। জানা গিয়েছে, ২০২৪-২৫ বাজেটে রাজস্ব আদায়ের মাধ্যমে আয় বৃদ্ধির পথে হাঁটবে রাজ্য সরকার। এই আবহে বেতন কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য একটি কৌশল প্রণয়ন করা হবে তখন।