আমেরিকা এবং কোয়াডভুক্ত দেশের নৌবাহিনীকে পূর্ব চিন সাগরের থেকে দূরে রাখতে সাবমেরিন ফাঁদ পেতে রেখেছিল বেজিং। সেই ফাঁদেই আটকে গেল চিনের সাবমেরিন। ঘটনায় ৫৫ জন চিনা নাবিকের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি ব্রিটিশ মিডিয়ার। যদিও সরকারি ভাবে এই ঘটনার কথা স্বীকার করেনি চিন।
1/5 ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম মিররের রিপোর্ট অনুযায়ী, অন্য দেশের জন্য পাতা ফাঁদে নিজেদেরই সাবমেরিন আটকে পড়ে চিনের। ঘটনায় ৫৫ জন চিনা নাবিকের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি ব্রিটিশ মিডিয়ার। যদিও সরকারি ভাবে এই ঘটনার কথা স্বীকার করেনি চিন। জানা গিয়েছে, পূর্ব চিন সাগরে এই ঘটনা ঘটেছে। ব্রিটিশ গোয়েন্দা রিপোর্টে চিনা নাবিকদের মৃত্যুর ঘটনা অবশ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
2/5 ব্রিটিশ গুপ্তচর রিপোর্ট অনুযায়ী, বিদেশি জাহাজের জন্য পূর্ব চিন সাগরে 'চেন ও অ্যাঙ্কর' ফাঁদ পেতে রেখেছিল চিন। সেই অঞ্চলে প্রায় ২০০-র বেশি চিনা সবমেরিন মোতায়েন করা রয়েছে। জাপান, আমেরিকা, দক্ষিণ কোরিয়াকে ঠেকাতে সাবমেরিনের প্রাচীর তৈরি করে রেখেছে চিন। সেই ফাঁদেই পড়ে চিনের নিজেদেরই সাবেরিন।
3/5 এদিকে ফাঁদে পড়লেও চিনা সাবমেরিনে থাকা নাবিকদের মৃত্যু হওয়ার কথা ছিল না। তবে রিপোর্ট অনুযায়ী, সাবমেরিনের অক্সিজেন সিস্টেম ঠিক ভাবে কাজ করেনি। এই আবহে সমুদ্রের নীচে বিষক্রিয়ায় প্রাণ হারান ৫৫ জন চিনা নাবিক। জানা গিয়েছে, যে সাবমেরিনটি ফাঁদে পড়েছিল, সেটিকে '০৯৩-৪১৭' হিসেবে চিহ্নিত করা হত। মৃতদের মধ্যে সাবমেরিনের ক্যাপ্টেন শিও ইয়ং-পেং ছিলেন। এছাড়া আরও ২১ জন অফিসারও মারা গিয়েছেন।
4/5 এদিকে সরকারি ভাবে ব্রিটিশ গুপ্তচরদের এই রিপোর্ট অস্বীকার করেছে চিন। এদিকে জানা গিয়েছে, সেই সাবমেরিন উদ্ধার করতে চিনকে আন্তর্জাতিক স্তর থেকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। তবে বেজিং নাকি অন্য দেশ থেকে কোনও সাহায্য নিতে চায়নি। এদিকে যে সাবমেরিনটি ফাঁদে পড়ে, সেটি ১৫ বছরেরও কম সময় ধরে সার্ভিসে আছে।
5/5 এদিকে গুপ্তচর রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২১ অগস্ট স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ১২ মিনিটে সমুদ্রের গভীরে থাকা ফাঁদে আটকে পড়ে চিনা সাবমেরিন। এই দুর্ঘটনার জেরে একজন ক্যাপ্টেন সহ ২২ জন অফিসার, ৭ জন অফিসার ক্যাডেট, ৯ জন পেটি অফিসার এবং ১৭ জন নাবিকের মৃত্যু হয়। তবে এই সব রিপোর্ট খারিজ করে দিয়েছে বেজিং।