বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > DGCA official suspended over Corruption Charges: ঘুষে বিমান নেওয়ার অভিযোগ, সাসপেন্ড করা হল DGCA-এর বিভাগীয় ডিরেক্টরকে
DGCA official suspended over Corruption Charges: ঘুষে বিমান নেওয়ার অভিযোগ, সাসপেন্ড করা হল DGCA-এর বিভাগীয় ডিরেক্টরকে Updated: 23 Nov 2023, 12:00 PM IST Abhijit Chowdhury দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত ডিজিসিএ কর্তাকে সাসপেন্ড করল কেন্দ্রীয় সরকার। অভিযুক্ত আধিকারিককে অনুমতি ছাড়া দিল্লি ছেড়ে যেতেও বারণ করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত এখনও জারি আছে বলে জানা গিয়েছে। সাসপেন্ড হওয়া আধিকারিকের নাম অনিল গিল। তিনি অ্যারোস্পোর্টে ডিভিশনের ডিরেক্টর ছিলেন। 1/6 প্রাথমিক তদন্তের পর ডিজিসিএ-র বিভাগীয় ডিরেক্টর পদে থাকা অনিল গিলকে সাসপেন্ড করা হল। বিগত ৮ বছর ধরে তিনি ডিজিসিএ-তে আছেন। এর মধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে তিনবার ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তাঁর বিরুদ্ধে নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। এই আবহে অনিল গিলকে ফ্লাইং ট্রেনিং বিভাগের ডিরেক্টর পদ থেকে সরিয়ে অ্যারোস্পোর্টে ডিভিশনে পাঠানো হয়েছিল। আর এবার তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। 2/6 এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বলেন, দুর্নীতির সঙ্গে কোনও রকম আপস করা হবে না। এই আবহে অনিলকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এই সময়কালে অনুমতি ছাড়া তাঁকে দিল্লি ছেড়ে যেতে বারণ করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত এখনও জারি আছে। অনিল গিলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, নিজের ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করে পাইলট এবং উড়ান স্কুলগুলির ওপরে চাপ সৃষ্টি করেছেন। তাঁর সঙ্গে যুক্ত সংস্থাকে সুবিধা পাইয়ে দিতেই নাকি ক্ষমতার এই অপব্যবহার করেছিলেন অনিল গিল। এদিকে নিজের সঙ্গে যুক্ত সংস্থা নিয়ম লঙ্ঘন করলেও সেদিকে তিনি নজর দিতেন না এবং পদক্ষেপ করতেন না। 3/6 অভিযোগ, অনেক সময়ই অনিল গিল যে ঘুষ চাইতেন, তা দিতে সক্ষম হত না অনেক ট্রেনিং স্কুল। সেই সময় গিলের সঙ্গে সংস্থাকে 'কম দামে' নিজেদের বিমান বিক্রি করে দিত সেই ট্রেনিং স্কুল। অভিযোগ, ব্লুথ্রোট অ্যারো গ্লোবাল এবং সাব্রেস কর্পোরেট সলিউশনস নামক দুই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন অনিল গিল। এরপর সেই বিমানগুলি অনিল গিলের সংস্থা মাসিক ৯০ লাখ টাকার বিনিময়ে অন্য কোনও সংস্থাকে লিজ দিত। 4/6 প্রসঙ্গত, ডিরেক্টর অফ ফ্লাইট ট্রেনিং হিসেবে যেকোনও ট্রেনিং স্কুলকে অনুমোদন দেওয়ার দায়িত্ব ছিল অনিল গিলের ওপর। এদিকে কমার্শিয়াল পাইলটের লাইসেন্স পেতে এই ট্রেনিং স্কুলে প্রশিক্ষণ নেওয়া বাধ্যতামূলক। এই আবহে অনিল গিলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ফ্লাইট ট্রেনিংয়ের ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় ৩টি বিমান ঘুষ হিসেবে নিয়েছেন। 5/6 গত ২৫ অক্টোবর ডিজিসিএ-কে অনিল গিলের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হয়েছিল। এরপর শুরু হয় তদন্ত। সেই প্রাথমিক তদন্তের রিপোর্ট গত ৭ নভেম্বর পাঠানো হয় অসামরিক বিমান পরিবহণ সচিব ভুমলুনমং ভুয়ালনামকে। জানা গিয়েছে, ব্লুথ্রোট অ্যারো গ্লোবাল এবং সাব্রেস কর্পোরেট সলিউশনস নামক দুই সংস্থারই বোর্ড অফ ডিরেক্টরে আছেন অনিল গিলের মা, ভাইয়ের স্ত্রী, মাসি, ভাই, স্ত্রীর ভাই। এদিকে ব্লুথ্রোটের তরফ থেকে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। তারা দাবি করেছেন, তারা তিনটি বিমান টাকা দিয়ে কিনেছে। 6/6 এদিকে অনিল গিলের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, গত ৩৬ মাসে রেডবার্ড ফ্লাইট ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের ১৫ থেকে ২০টি ক্র্যাশ হলেও সেই সংস্থার বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করেননি অনিল। প্রসঙ্গত, অনিল গিলের সঙ্গে যুক্ত সংস্থাগুলি রেডবার্ডকে দু'টি বিমান লিজ দিয়েছে। এদিকে রেডবার্ডে বিনিয়োগ করা ব্যক্তিরাও অনিল গিলের ঘনিষ্ঠ বলে জানা গিয়েছে। এদিকে এই অভিযোগ অস্বীকার করে রেডবার্ড বলেছে, ২০১৭ সালে চালু হয়েছে সংস্থা। ৪০টি বিমানের সবকটি নতুন। এই সংস্থার কোনও দুর্ঘটনাতেই কেউ আহত হয়নি।