আর কয়েকটা মাস। তারপরই দেশে অনুষ্ঠিত হবে লোকসভা নির্বাচন। তবে তার আগে চরম অস্বস্তিতে রয়েছে কেন্দ্রের মোদী সরকার। নেপথ্যে, নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী এবং খাদ্য পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের কষ্ঠ লাঘব করতে শীঘ্রই বড় পদক্ষেপ করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
1/5 রিপোর্ট অনুযায়ী, শীঘ্রই ভোজ্যতেলের ওপর ধার্য থাকা উৎপাদন শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার। শুধু তাই নয়, কমানো হতে পারে ভোজ্যতেলের আমদানি শুল্কও। এদিকে ভোজ্যতেলের পাশাপাশি গমের আমদানি শুল্কেও রাশ টানতে পারে সরকার। এদিকে রাশিয়া থেকে সস্তার গম আমদানির পরিকল্পনাও করা হচ্ছে। এর আগে রাশিয়া থেকে সস্তায় জ্বালানি তেল কেনা শুরু করেছিল কেন্দ্র।
2/5 উল্লেখ্য, এবছর গম উৎপাদনে ঘাটতি দেখা দেবে দেশে। সরকার যা অনুমান করেছিল, তার থেকে ১০ শতাংশ কম উৎপাদন হবে গমের। এর জেরে টান পড়বে বাজারে। বাড়তে পারে দাম। সেই ঘাটতি মেটাতে প্রয়োজন পড়বে ৩০ থেকে ৪০ লাখ টন গম। এই আবহে রাশিয়া থেকে আমদানি করে এই ঘাটতি মেটানোর কথা ভাবা হচ্ছে। এমনকী গমের দাম যেন কমে, তাই প্রয়োজনের চেয়ে বেশি গম আমদানির কথা ভাবা হচ্ছে। এদিকে ইতিমধ্যেই টমেটোর দাম নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ করেছে সরকার। চালের দাম নিয়ন্ত্রণে নিষিদ্ধ হয়েছে রফতানি।
3/5 এর আগে স্বাধীনতা দিবসের দিন লালকেল্লা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজের ভাষণে দাবি করেছিলেন, মূল্যবৃদ্ধি হ্রাস করতে শীঘ্রই তাঁর সরকার আরও পদক্ষেপ করতে চলেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশের ৮১.৩ কোটি মানুষ যাতে বিনামূল্যে রেশন পেতে থাকেন, সেই নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বরে মোদীর নেতৃত্বে ক্যাবিনেট বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের ৮১.৩৫ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে রেশন দেওয়া হবে। তবে এখন জানা যাচ্ছে ২০২৪ সালেও এই প্রকল্প জারি থাকবে।
4/5 এদিকে বিগত দিনে গ্যাস সিলিন্ডারের মূল্য নিয়ে বিরোধীদের তোপের মুখে পড়তে হয়েছিল সরকারকে। এই আবহে দরিদ্র পরিবারদের প্রতি বছর গ্যাস সিলিন্ডার বাবদ ২৪০০ টাকা করে ভর্তুকি দেওয়া হবে আরও এক বছর। প্রতি বছর ভর্তুকিতে ১২টি সিলিন্ডার পাওয়া যায়। উজ্জ্বলা যোজনার অধীনে সিলিন্ডার পিছু দেওয়া হবে ২০০ টাকা করে ভর্তুকি। গতকাল এই নিয়ে জ্বালানি মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরীও ইঙ্গিত দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি দাবি করেছেন, গ্যাসের দাম কমানোর চেষ্টা চলছে।
5/5 এদিকে বিগত বেশ কয়েক মাস ধরেই রাশিয়া থেকে সস্তায় অশোধিত জ্বালানি তেল কিনে চলেছে ভারত। তবে সেই তেলের একটা বড় অংশ রফতানি করা হচ্ছে ইউরোপ ও আমেরিকায়। এদিকে ভারতে জ্বালানি তেলের দাম কমেনি। অবশ্য সেই রেট থেকেছে স্থিতিশীল। এতে অবশ্য সরকারের লাভই হয়েছে। উইন্ডফল ট্যাক্স বসিয়ে সরকার জ্বালানি রফতানি থেকে রাজকোষ ভরিয়েছে। তবে দেশের বাজারে কমেনি তেলের দাম। তবে এবার জ্বালানির দাম কমাতে শুল্কে কাটছআঁট হতে পারে। পেট্রোল, ডিজেলের দাম কমলে পরিবহণ খরচ কমবে। কমবে জিনিসপত্রের দামও।