হরিয়ানার সাম্প্রদায়িক হিংসা হয়ত পূর্ব-পরিকল্পিত। এমনই ধারণা বদ্ধমূল হচ্ছে তদন্তকারীদের। পুলিশ জানাচ্ছে, হিংসায় মৃত দুই হোমগার্ড এবং অপর একজন প্রাণ হারিয়েছেন গুলিতে। আর এতেই প্রশ্ন উঠছে, এত বন্দুক এল কোথা থেকে। এই আবহে রাজধানী দিল্লিকে হাই অ্যালার্টে রাখা হয়েছে।
1/5 পুলিশ জানাচ্ছে, হরিয়ানার হিংসায় মোট ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে গুলিতে। এছাড়াও নুহ্ জেলার হিংসায় অন্তত ১২ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভরতি। পুলিশের অনুমান, দেশি বন্দুক ব্যবহার করছে দাঙ্গাবাজরা। এই আবহে এই হিংসার ঘটনা পূর্ব-পরিকল্পিত বলে মনে করছেন তারা। পুলিশের দাবি, স্থানীয় বন্দুদ প্রস্তুতকারকরা এমন ৫০০ দেশি বন্দুক ও পিস্তল সরবরাহ করেছে। এছাড়াও খালি বোতলে পেট্রোল বোমা বানানো হচ্ছে।
2/5 এদিকে যদি এত কিছু হয়েই থাকে, তাহলে পুলিশের গোয়েন্দারা কী করছিল? তাদের কাছে কোনও তথ্য কেন ছিল না? এখন এই প্রশ্নই উঠতে শুরু করেছে। তাতে পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। এদিকে পড়শি গুরুগ্রামে এই হিংসার জেরে দিল্লিতে উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। গুরুগ্রামে আজও বন্ধ থাকছে স্কুল-কলেজ এবং অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। অনেক অফিসই কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করতে বলেছে।
3/5 এদিকে মঙ্গলবার রাতে আবার নতুন করে হিংসা ছড়ায় হরিয়ানায়। একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী, গুরুগ্রামের সেক্টর ৭০-তে একাধিক দোকান এবং বস্তিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। যেখানে আগুন ধরানো হয়, সেটার ঠিক পাশেই একটি আবাসন আছে। তবে শুধু রাতে নয়, মঙ্গলবার অন্ধকার নামার আগেও গুরুগ্রামে অশান্তি ছড়ায়। বাদশাপুরে কমপক্ষে তিনটি দোকানে লুঠপাট চালানো হয়। পতৌদি চকের কাছে একের পর এক দোকানে ভাঙচুর চালিয়েছে দুষ্কৃতীরা।
5/5 উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারিতে ভিওয়ানিতে দুই মুসলিম যুবককে খুন করার ঘটনায় মনু পলাতক। সেই মনু ভিডিয়ো পোস্ট করে দাবি করেছিল এই ধর্মীয় মিছিলে সে থাকবে। এই আবহে গুরুগ্রাম আলওয়ার হাইওয়েতে এই যাত্রা থামান কয়েকজন। এরপরই মিছিলকে লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়া হয়। সরকারি ও বেসরকারি গাড়িকে লক্ষ্য পাথর ছোঁড়া হয়। সেই সময় পাশের এক শিবমন্দির চত্বরে আশ্রয় নেন প্রায় ২৫০০ মানুষ।