প্যালেস্তাইনের পক্ষে এবং ইজরায়েলের বিরুদ্ধে আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে পড়ুয়ারা আন্দোলন গড়ে তুলেছে। এই আবহে সেখানে বহু বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এই নিয়ে আমেরিকার পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক।
1/5 সাম্প্রতিককালে আমেরিকার প্রশাসনের একাধিক বিভাগের রিপোর্টে ভারতের বিষয়ে নেতিবাচক রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। বিশেষ করে মানবাধিকার ইস্যুতে ভারত নিয়ে বেশ কিছু নেতিবাচক রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে আমেরিকায়। এবার মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে শতাধিক পড়ুয়াদের গ্রেফতারি নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিল ভারতের বিদেশ মন্ত্রক।
2/5 ভারতের তরফ থেকে এই নিয়ে বলা হয়েছে, সকল গণতন্ত্রে মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং জননিরাপত্তা ও শৃঙ্খলার মধ্যে 'সঠিক ভারসাম্য' নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমরা নিজেদের বাড়িতে কী করি, তার ভিত্তিতেই গণতন্ত্রের মূল্যায়ন হওয়া উচিত। বিদেশে গিয়ে বা অন্য দেশের বিষয়ে আমরা কী বললাম, তা থেকে গণতন্ত্রের মূল্যায়ন করা যায় না।
3/5 উল্লেখ্য, বিগত বেশ কয়েক মাস ধরেই ইজরায়েল গাজায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রাথমিক ভাবে এই যুদ্ধে ইজরায়েলের পক্ষে ছিল পশ্চিমের সমর্থন। এখনও পশ্চিমের দেশগুলি ইজরায়েলকে সমর্থন করছে বটে। তবে ক্রমেই ইজরায়েল বিরোধী এবং প্যালেস্তাইনপন্থী জনমত বৃদ্ধি হচ্ছে। এই আবহে আমেরিকার বহু বিশ্ববিদ্যালয়ে প্যালেস্তাইনের সমর্থনে বেশ কয়েকশো পড়ুয়া প্রতিবাদ দেখান। সেই সময়ই শতাধিক পড়ুয়াকে গ্রেফতার করা হয় সম্প্রতি।
4/5 গত বুধবার এই বিক্ষোভ প্রদর্শনের ঘটনায় দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রায় ১০০ জন এবং টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অন্তত ১২ জন পড়ুয়াকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়াও বস্টনের ইমারসন কলেজেও শতাধিক পড়ুয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সেখানে ৪ পুলিশকর্মী জখম হয়েছিলেন সংঘর্ষে।
5/5 উল্লেখ্য, এই পড়ুয়াদের ইজরায়েল বিরোধী আন্দোলন শুরু হয়েছিল গত সপ্তাহে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। পড়ুয়াদের দাবি, ইজরায়েলি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সকল সম্পর্ক ছিন্ন করুক মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলি। এছাড়া মার্কিন প্রশাসন যেন ইজরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করে দেয়।