সাম্প্রতিককালে ভারতের মধ্যে বৃহত্তম বড় উড়ান সংস্থা হয়ে উঠেছে ইন্ডিগো। বিশেষ করে ঘরোয়া রুটে অধিকাংশ বিমানযাত্রীই এখন ইন্ডিগোর ওপর ভরসা করে থাকেন। তবে এরই মাঝে আন্তর্জাতিক রুটে নিজেদের প্রসার ঘটাতে চাইছে ইন্ডিগো। এই পরিস্থিতিতে এয়ারবাসের থেকে ৩০টি নতুন বিমান কিনবে তারা।
1/5 গত লক্ষ্মীবারে এয়ারবাসের কাছ থেকে ৩০টি এ৩৫০-৯০০ বিমান কেনার জন্য অর্ডার দিয়েছে ইন্ডিগো। এই বিমানগুলির 'বডি' বেশ চওড়া। সংস্থার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এই বিমানগুলির সাহায্যে ইন্ডিগো আন্তর্জাতিক রুটে নিজেদের ডানা মেলতে পারবে। ভারতের বিভিন্ন মেট্রো শহর থেকে আন্তর্জাতিক গন্তব্যে যাত্রীদের উড়িয়ে নিয়ে যেতে পারবে তারা।
2/5 এদিকে এই ৩০টি বিমানের অর্ডার প্রসঙ্গে এয়ারবাসের কমার্শিয়াল বিমান সেলস বিভাগের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট বেনোঁ দে সন্ত-এউপেরি বলেন, 'এ৩৫০ বিমান কেনার মাধ্যমে গোটা বিশ্বের জন্য ভারতের দরজা খুলে দিচ্ছে ইন্ডিগো। এই আবহে উড়ান সংস্থা যাতে কৌশলগত ভাবে ঠিক পথে অগ্রসর হয়, তা নিশ্চিত করতে আমরা তাদের সাহায্য করব।'
3/5 উল্লেখ্য, বর্তমানে ইন্ডিগোর কাছে এয়ারবাসের যে বিমানগুলি আছে, সেগুলির 'বডি' সরু। এছাড়া ইন্ডিগোর কাছে বোয়িং ৭৭৭ বিমান আছে দু'টি। টার্কিশ এয়ারলাইন থেকে সেই দুই বোয়িং লিজে নিয়েছে ইন্ডিগো। এই আবহে এয়ারবাসের 'চওড়া বডি'র এ৩৫০-৯০০ বিমান কেনার মাধ্যমে নিজেদের ব্যবসার একটি নয়া দিগন্ত উন্মোচন করতে চলেছে ইন্ডিগো।
4/5 প্রসঙ্গত, এখন ইন্ডিগোর কাছে প্রায় ৩৫০টি বিমান আছে। এদিকে গতবছর তারা একসঙ্গে ৫০০টি বিমানের অর্ডার দিয়েছিল এয়ারবাসকে। উড়ানের ইতিহাসে একসঙ্গে কোনও সংস্থাই এত বিপুল সংখ্যক বিমন কেনার জন্য কাউকে অর্ডার দেয়নি। আর এরই মাঝে আন্তর্জাতিক আকাশে নিজেদের ডানা মেলতে আরও ৩০টি অত্যাধুনিক বিমানের অর্ডার দিল ইন্ডিগো।
5/5 এদিকে এই নয়া ৩০টি এ৩৫০-৯০০ বিমানগুলি ইন্ডিগোর হাতে আসতে শুরু করবে ২০২৭ সাল থেকে। এই পরিস্থিতিতে এখনও অর্ডার দেওয়া বিমানের 'কনফিগারেশন' স্থির করা হয়নি। রিপোর্ট অনুযায়ী, এই নয়া বিমাগুলিতে রোলস রয়েসের ট্রেন্ট এক্সডাব্লুবি ইঞ্জিন থাকতে পারে।