মোদী জমানায় ধাপে ধাপে সরকারি সম্পত্তির বিলগ্নীকরণ প্রক্রিয়া চলছে। সেই করে সরকার কোষাগার ভরছে। এই আবহে এবার এই অর্থবর্ষের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে ভারতীয় রেলওয়ে ফিন্যান্স কর্পোরেশনে নিজেদের অংশীদারিত্ব বিক্রি করতে পারে সরকার। এমনই দাবি করা হয়েছে সংবাদসংস্থা রয়টার্সের এক রিপোর্টে।
1/5 রয়টার্সের রিপোর্ট অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় সরকারের দুই উচ্চপদস্থ আমলা নিশ্চিত করেছেন যে ভারতীয় রেলওয়ে ফিন্যান্স কর্পোরেশনে নিজেদের অংশীদারিত্ব বিক্রি করতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার। উল্লেখ্য, এই সংস্থার ৮৬ শতাংশ অংশীদার ভারত সরকার। এই আবহে একাধিক ধাপে সংস্থার প্রায় ১১ শতাংশ অংশীদারিত্ব বিক্রি করতে চাইছে সরকার। শীঘ্রই এই বিলগ্নীকরণ প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে।
2/5 এর আগে গত মাসেই রেলের সঙ্গে যুক্ত আরও এক সংস্থায় নিজেদের অংশীদারিত্ব বিক্রি করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। জানা গিয়েছে, রেল বিকাশ নিগম লিমিটেডের ৫ শতাংশ অংশীদারিত্ব বিক্রি করে সরকার ১৩.৬৬ বিলিয়ন টাকা বা ১৬৪.৩৪ মিলিয়ন ডলার নিজেদের কোষাগারে তুলেছে। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে এখনও পর্যন্ত বিলগ্নীকরণের মাধ্যমে ৫৬ বিলিয়ন টাকা তুলেছে সরকার। যদিও এই অর্থরবর্ষে এর লক্ষ্যমাত্রা হল ৫১০ বিলিয়ন টাকা।
3/5 এদিকে রেলওয়ে ফিন্যান্স কর্পোরেশনের বিলগ্নীকরণের মাধ্যমে সেবির নিয়মও মানতে চলেছে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় পাবলিক সেক্টর এন্টারপ্রাইজের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ২৫ শতাংশ শেয়ার বাজরে থাকা বাধ্যতামূলক। পাবলিক শেয়ারহোল্ডিংয়ের নিয়মের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ করতেই তাই সরকারকে রেলওয়ে ফিন্যান্স কর্পোরেশনের ১১.৩৬ শতাংশ অংশীদারিত্ব বিক্রি করতে হবে। এই আবহে বিগ্নীকরণের মাধ্যমে সরকারের কোষাগারে টাকাও আসবে আবার সেবির নিয়ম পালনও হবে।
4/5 উল্লেখ্য, ২০২১ সালের জানুয়ারিতে রেলওয়ে ফিন্যান্স কর্পোরেশনকে স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। মিনিমাম পাবলিক শেয়ারহোল্ডিংয়ের নিয়ম অনুসারে, তালিকাভুক্ত সংস্থার ডেবিউয়ের পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন ২৫ শতাংশ পাবলিক ফ্লোট থাকতে হবে। এর আগে এই সংস্থার প্রায় ১৪ শতাংশ শেয়ার বাজারে ছেড়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। আর এবার ধাপে ধাপে আরও অন্তত ১১ শতাংশ অংশীদারিত্ব বিক্রির পরিকল্পনা করছে সরকার।