বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > ISL 2023-24: রেফারি নিরপেক্ষ নন- রাগ পড়ছে না, নর্থইস্ট ম্যাচের আগে ফের ক্ষোভ উগরালেন কুয়াদ্রাত
ISL 2023-24: রেফারি নিরপেক্ষ নন- রাগ পড়ছে না, নর্থইস্ট ম্যাচের আগে ফের ক্ষোভ উগরালেন কুয়াদ্রাত Updated: 08 Feb 2024, 09:30 PM IST Tania Roy গত শনিবার ডার্বি শেষ হওয়ার পরে রেফারিং নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন কার্লেস কুয়াদ্রাত। সেই রাগ এখনও পড়েনি। ডার্বির পাঁচ দিন পরেও ফের রেফারিং নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন লাল-হলুদ কোচ। স্পষ্ট বলে দিলেন, রেফারি নিরপেক্ষ ভাবে ম্যাচ খেলান না। 1/5 ৩ ফেব্রুয়ারি ডার্বি ২-২ ড্র হওয়ার পরেই রেফারির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন মোহনবাগান কোচ আন্তোনিয়ো লোপেজ হাবাস এবং ইস্টবেঙ্গলের কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত। আর লাল-হলুদের কোচের ক্ষোভ যেন কিছুতেই কমছে না। ডার্বির পর পাঁচ দিন কেটে গিয়েছে। শনিবার নর্থইস্ট ইউনাইটেড ম্যাচ। তার আগে বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলনে এসে কুয়াদ্রাত ফের বিরক্তির সুরে বলে দেন, রেফারিং ঠিক না হওয়ার কারণে বেশ কিছু ম্যাচে তিন পয়েন্ট পাননি তাঁরা। 2/5 কোনও রকম শাস্তির পরোয়া না করে কুয়াদ্রাত বলে দেন, ‘প্লে-অফে যেতে গেলে ম্যাচ জিততেই হবে। প্লে-অফই আমাদের লক্ষ্য। তাই তিন পয়েন্টের জন্য লড়াই করব। খারাপ রেফারিংয়ের জন্যই আমরা মাত্র দু'টি ম্যাচে জিতেছি। কিছু ম্যাচে শেষ মুহূর্তের রেফারিং আমাদের জিততে দেয়নি। আগের ম্যাচেও তিন পয়েন্ট নিশ্চিত ছিল। শেষ মুহূর্তে ওই ফাউলটা দেওয়া হয়নি। ফলে দু’পয়েন্ট মাঠেই রেখে আসতে হয়েছে।’ 3/5 রেফারিং নিয়ে তাঁর রাগ কিছুতেই যাচ্ছে না কুয়াদ্রাতের। রাগে গজগজ করতে করতে তিনি বলেন, ‘অনেক দিন ধরে ভারতীয় ফুটবলের সঙ্গে আমি যুক্ত। সেই ২০১৬ সাল থেকে। অনেক কিছু দেখেছি। যখন কোনও ম্যাচে একটি দলকে পেনাল্টি দেওয়ার পর, আরও একটি পেনাল্টির আবেদন করা হয়, তখন উল্টো দিকের দলও পেনাল্টি পেয়েছে কি না, সেটা দেখতে হয়। যখন কোনও দলের ফুটবলার লালকার্ড দেখে, খেয়াল করে দেখবেন ম্যাচের শেষে অপর দলের ফুটবলারও লাল কার্ড দেখেছে। সব সময়েই দু’দলের মধ্যে একটা ভারসাম্য রাখা হয়।’ 4/5 কুয়াদ্রাত আরও যোগ করেছেন, ‘এ দেশে রেফারিরা শুধু দুর্বল দলের পক্ষেই থাকেন। যখন কোনও দল পিছিয়ে রয়েছে, তখন রেফারি তাদের পক্ষ নেন। রেফারির উচিত, যা দেখছেন সেটার ভিত্তিতে বাঁশি বাজানো। কারা পিছিয়ে বা কারা এগিয়ে, সেটা বিচার করে নয়। আমি ১০০ শতাংশ নিশ্চিত যে, কলকাতা ডার্বিতে যদি মোহনবাগান ২-১ এগিয়ে থাকত এবং সেই সময়s আমাদের বক্সে নন্দকুমারকে সাহাল ফাউল করত, তা হলে রেফারি ঠিক বাঁশি বাজাতেন। ওরা এগিয়ে থাকলে সায়নকে ধাক্কা মারার জন্য রেফারি দিমিত্রি পেত্রাতোসকে কার্ড দেখাতেন।’ 5/5 শেষে ওড়িশা ম্যাচের প্রসঙ্গ টেনে কুয়াদ্রাত বলেন, ‘অনেক ম্যাচে আমরা শেষ মুহূর্তে খারাপ রেফারিংয়ের শিকার হয়েছি। ওড়িশা ম্যাচের কথা মনে করে দেখুন। যেহেতু ড্র চলছিল, তাই রেফারি ভেবেছিলেন সবাই খুশি থাকবে। একটা পেনাল্টি না দিলে কিছু এসে যায় না। দু’বার পেনাল্টির আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল। ভালa রেফারি থাকলে অন্তত তিন-চারটে ম্যাচে আমরা তিন পয়েন্ট পেতে পারতাম। এমন বলছি না যে, রেফারির জন্য প্লে-অফে যেতে পারব না। কিন্তু ওদের নিরপেক্ষতা থাকলে ফলাফল অন্য রকম হতে পারত।’