জোকা-এসপ্ল্যানেড রুটে মেট্রোর কাজে দেখা দিয়েছে জটিলতা। এই রুটের এসপ্ল্যানেড স্টেশনটি তৈরি করার জন্যে বিধান মার্কেট সরাতে হত। তবে তার জন্যে সেনার তরফ থেকে অনুমতি পায়নি মেট্রো কর্তৃপক্ষ। এই আবহে মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে এবার বিকল্প প্রস্তাব দেওয়া হল।
1/6 বিধান মার্কেট থেকে সব ব্যবসায়ীদের অন্যত্র সরিয়ে সেখানে জোকা-এসপ্ল্যানেড পার্পল লাইনের এসপ্ল্যানেড স্টেশনটি তৈরির করার কথা ভেবেছিল রেল বিকাশ নিগম লিমিটেড। তবে বিধান মার্কেট সরানোর অনুমতি মিলছে না কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফ থেকে। এই আবহে এবার মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে একটি বিকল্প পরিকল্পনা সামনে রাখা হল। এর ফলে এই রুটের ধর্মতলা স্টেশনের জটিলতা কাটতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
2/6 রিপোর্ট অনুযায়ী, এসপ্ল্যানেড স্টেশন তৈরির কাজ চলাকালীন বিধান মার্কেটটি সরিয়ে মাউন্টেটেড পুলিশের অফিসের দক্ষিণে সরানোর প্রস্তাব দিয়েছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। অবশ্য অস্থায়ী ভাবেই এই মার্কেটটি সরানোর কথা বলা হয়েছে। প্রস্তাব অনুযায়ী, মেট্রো স্টেশন তৈরির কাজ শেষ হওয়ার পর আবার পুরনো জায়গায় মার্কেটটিকে ফিরিয়ে আনা হবে।
3/6 যদিও এই প্রস্তাব নিয়ে চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি এখনও। উল্লেখ্য, জোকা-এসপ্ল্যানেড মেট্রোর কাজের জন্য বিধান মার্কেট সরানো নিয়ে সম্প্রতি একটি বৈঠক হয়। সেখানে কেএমআরসিএল, আরভিএনএল, কলকাতা পুলিশ, পরিবহণ দফতর, বন দফতর, কলকাতা পুরসভার আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন সেখানে। সেখানেই জোকা রুটের এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশন নিয়ে আলোচনা হয়েছিল।
4/6 সেই বৈঠকে বিধান মার্কেট নিয়ে আরও বিকল্প পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছিল মেট্রো কর্তৃপক্ষ। জানা গিয়েছে, মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফে বলা হয়, ময়দান মার্কেটটিকে সরিয়ে কার্জন পার্কে নিয়ে যাওয়া যায়। সেখানে দোতলা একটি বিল্ডিং তৈরি করা যেতে পারে। সেটার অনুমতি না মিললে একতলা বিল্ডিং তৈরি করে কিছু দোকাল এল-২০ বাসস্ট্যান্ডে সরানো যেতে পারে।
5/6 এছাড়া মাউন্টে পুলিশের অফিসের কাছে মার্কেটটিকে স্থানান্তরের প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি আরও একটি প্রস্তাব দিয়েছে মেট্রো রেল। বলা হয়, ময়দান মার্কেটটিকে তার জায়গায় রেখেই দুধারে অস্থায়ী পাঁচিল দিয়ে ঘিরে তৈরি করা যেতে পারে এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশনটি। সেই ক্ষেত্রে মার্কেটের দুপাশে তৈরি হবে স্টেশন। কাজ শেষ হলে পাঁচিলটি ভেঙে দেওয়া হবে।
6/6 প্রসঙ্গত, ময়দান মার্কেটটি তৈরি হয়েছে সেনাবাহিনীর এলাকায়। মেট্রো জানায়, সেনার তরফে তাদের জানানো হয়েছে, তাদের জমিতে বেআইনিভাবে ওই মার্কেট রয়েছে। এবার তা সরিয়ে যদি অন্যত্র তাদের জায়গা দেওয়া হয়, তবে এই বে-আইনি মার্কেটকে বৈধতা দেওয়া হবে। তাই সেই মার্কেট স্থানান্তরের ক্ষেত্রে অনুমতি দিচ্ছে না সেনা। আর এই কারণেই জোকা রুটের এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশন নির্মাণে জটিলতা দেখা দিয়েছে।