বিগত কয়েকদিনে ধারাবাহিক ভাবে কলকাতার পারদ ৪০ ডিগ্রির গণ্ডি পার করেছে। এই আবহে জলের চাহিদা বেড়েছে শহরে। আগে যেখানে মাথপিছু ১৫০ লিটার জলে কাজ চলে যেত, সেখানে মাথাপিছু ৪৫০ লিটার করে খরচ হচ্ছে। এরই সঙ্গে গঙ্গার জলস্তরও কমেছে। সব মিলিয়ে কলকাতায় জল সরবরাহ নিয়ে চিন্তিত পুরসভা।
1/5 গরমের মধ্যে কলকাতাবাসীরা এক এক দিনে তিনবার পর্যন্ত স্নান করছেন। সঙ্গে জল খাওয়ার পরিমাণ, হাত-মুখ ধোয়ার পরিমাণ বেড়েছে। এই সব কারণে কলকাতায় জলের দৈনিক গড় চাহিদা এক লাফে ৩ গুণ বেড়েছে। আগে যেখানে সাধারণত মাথাপিছু ১৫০ লিটার জলে কাজ চলে যেত, সেখানে এখন গড় ৪৫০ লিটার জলের প্রয়োজন পড়ছে মাথাপিছু।
2/5 এই সবের মাঝে আবার গঙ্গার জলস্তর কমেছে। এর জেরে পরিস্রুত জল উৎপাদন করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এদিকে এই সময়কালে বেহালা, যাদবপুর, গার্ডেনরিচ, বাঁশদ্রোণীতে জলের চাহিদা বেড়েছে বেশ খানিকটা। এই পরিস্থিতিতে চাহিদা মেটাতে এই সব জায়গায় অতিরিক্ত জলের গাড়ি পাঠাচ্ছে কলকাতা পুরসভা। পাশাপাশি মানুষকে আরও বেশি সচেতন হয়ে জল অপচয় রোখার বার্তাও দেওয়া হচ্ছে।
3/5 পুরসভা জানাচ্ছে, বহু বাড়িতেই জলের কল খারাপ। পুরোপুরি বন্ধ হয় না জল। এই আবহে এক এক বিন্দুতে ০.৫ মিলিলিটার জল পড়ে। এভাবে সারা দিন ধরে যদি জল পড়তে থাকে, তাহলে অনেকটাই জল অপচয় হয়। এছাড়া রাস্তার কল খুলে রাখার জন্যও জলের অপচয় হয়। আবার শহরের বিভিন্ন জায়গায় রাস্তায় জলের পাইপে ফাটল থাকায় জলের অপচয় হচ্ছে।
4/5 রিপোর্ট অনুযায়ী, খিদিরপুরের তক্তা ঘাটে হুগলি থেকে পর্যাপ্ত জল তোলা সম্ভব হয়নি কয়েক দিন। অবশ্য, পলতায় জল প্রকল্পটি এমনভাবে তৈরি সেটি জোয়ার এবং ভাটার সময় খুব একটা জলস্তরের পরিবর্তন হয় না। তবে এর মধ্যেও গত দুই সপ্তাহে সেখানে জল তুলতে সমস্যা হয়েছে কয়েকদিন। উল্লেখ্য, কলকাতাবাসীর জন্য রোজ প্রায় ৫১৫০ লক্ষ গ্যালন পরিস্রুত জল উৎপাদন করে পুরসভা।
5/5 এদিকে সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী, বিগত কয়েক সপ্তাহের তাপপ্রবাহের জেরে হুগলি নদীর বিভিন্ন জায়গায় চড়া পড়েছে। গরমের জেরে অনেক জায়গায় নদীর জলস্তর নেমে গিয়েছে। সাম্প্রতিককালে দক্ষিণ ভারতের চেন্নাই, বেঙ্গালুরুর মতো শহরগুলিতে তীব্র জলসংকট দেখা দিয়েছিল। কলকাতাতেও কি তবে তেমন পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে? এই শঙ্কার মাঝেই পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টায় আছে পুরসভা। সঙ্গে কলকাতাবাসীদেরও সচেতন হওয়ার বার্তা দিচ্ছে পুরসভা।