1/7নানা কারণে ডায়াবিটিসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। মানসিক চাপ, খাদ্যাভ্যাসের সমস্যার মতো কারণে অনেকেই আক্রান্ত হচ্ছেন এই সমস্যায়। ডায়াবিটিসে আক্রান্তদের একটি বড় সমস্যার বিষয় হল তাঁরা কী খাবেন, এবং কী খাবেন না— এই খাবার নির্বাচন। কোনও কোনও খাবার খেলে তাঁদের ব্লাড সুগারের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে— এমন ভয়ে থাকেন তাঁরা। আর সেটিই স্বাভাবিক।
2/7কিন্তু যদি এমন কিছু খাবার খাওয়া যায়, যেগুলি নিজে থেকেই আপনাকে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করবে? এমন খাবার খাওয়া সত্যিই সম্ভব। এগুলি বলা হয় ডায়াবিটিস সুপারফুড। আর এগুলি নিয়মিত খেলে নিয়ন্ত্রণে থাকতে পারে ডায়াবিটিস। দেখে নেওয়া যাক, কী কী খাবেন রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে।
3/7বার্লি: বার্লির বেশির ভাগ ফাইবারই হল দ্রবণীয় ফাইবার। এগুলি কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস করতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি রক্তে শর্করার মাত্রা হ্রাস করতেও দারুণ ভূমিকা পালন করে এগুলি। অন্ত্রের নানা ধরনের প্রদাহ হ্রাস এবং রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল করার ক্ষেত্রেও বার্লি বা যবের কোনও তুলনা নেই। তাই এই শস্যটি খেলে ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।
4/7ওটস: ওটসে দ্রবণীয় এবং দ্রবণীয় ন— এমন দু’ধরনের ফাইবারই থাকে। তবে দ্রবণীয় ফাইবারটি বেশি উপকারী। যেহেতু আমাদের শরীর দ্রবণীয় ফাইবারকে ভেঙ্গে ফেলতে পারে না, তাই এটি আমাদের রক্তে চট করে শোষিত হয়ে যায় না। বরং এটি পেটের অনেকখানি জায়গা দখল করে থাকে। রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি না করেই, এটি পেট ভর্তি রাখে। পাশাপাশি এটি অন্ত্রের জন্য উপকারী ব্যাকটিরিয়ার জন্য সহায়ক প্রিবায়োটিক হিসাবেও কাজ করে।
5/7আপেল: এই ফলটি খেলে নানা রকমের অসুখ থেকে বাঁচা যায়, এ কথা তো সকলেই জানেন। কথাটি একেবারেই ঠিক। আপেল খেলে দীর্ঘস্থায়ী নানা রকম রোগের ঝুঁকি কমে। আপেল দ্রবণীয় ফাইবার পেকটিনের একটি ভালো উৎস। এটি যা চিনির শোষণের গতি কমিয়ে দেয়। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পায় না।
6/7কাবলি ছোলা: এই জাতীয় ছোলায় ডায়েটারি ফাইবারের মাত্রা অন্য খাবারের থেকে অনেকটাই বেশি। বিশেষ করে রাফিনোজ নামক একটি দ্রবণীয় ফাইবার এতে থাকে। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা হ্রাসে সাহায্য করে।
7/7সাবজা বীজ: এই বীজের উচ্চ মানের ফাইবার হজমের গতি ধীর করতে সাহায্য করে এবং কার্বোহাইড্রেটকে গ্লুকোজে পরিণত হওয়া থেকে নিয়ন্ত্রণ করে। তাই টাইপ ২ ডায়াবিটিসে আক্রান্তদের জন্য এটি একটি সুপারফুড হিসাবে বিবেচিত হয়।