বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > Pakistani Economy Latest Update: মূল্যস্ফীতির খোঁচায় পকেট ফুটো পাকিস্তানিদের, করাচিতে ১ কেজি আটার দামে ঘুরবে মাথা
Pakistani Economy Latest Update: মূল্যস্ফীতির খোঁচায় পকেট ফুটো পাকিস্তানিদের, করাচিতে ১ কেজি আটার দামে ঘুরবে মাথা Updated: 17 Jul 2023, 12:37 PM IST Abhijit Chowdhury সম্প্রতি সৌদি আরব এবং আইএমএফ থেকে অর্থ সাহায্য পেয়েছে পাকিস্তান। সেদেশের মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে দফায় দফায় বৃদ্ধি করা হয়েছে বেঞ্চমার্ক হার। তাও নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর অগ্নিমূল্যের ছেঁকায় হাত পুড়ছে পাকিস্তানিদের। বর্তমানে বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দামে আটা বিকোচ্ছে সেদেশে। 1/5 পাকিস্তান ব্যুরো অফ স্ট্যাটিস্টিকসের তথ্যের বরাত দিয়ে সংবাদ চ্যান এআরওয়াই দাবি করেছে, বর্তমানে পাকিস্তানের বাজারে ২০ কেজি আটার দাম ৩২০০ টাকা। অর্থাৎ, কেজি প্রতি ১৬০ টাকা করে আটা কিনতে হচ্ছে করাচির আম জনতাকে। ইসলামাবাদে ২০ কেজি আটার দাম একলাফে বেড়েছে ১০৬ টাকা। রাওয়ালপিন্ডিতে তা বেড়েছে ১৩৩ টাকা। শিয়ালকোটে ২০ কেজির আটার বস্তার দাম বেড়েছে ২০০ টাকা। 2/5 এদিকে পাকিস্তানের বহু খুচরো বাজারে চিনিও প্রতি কেজিতে ১৬০ টাকা করে বিকোচ্ছে বলে দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে। এদিকে করাচি, ইসলামাবাদ, রাওয়ালপিন্ডিতে বর্তমানে প্রতি কেজি চিনি বিকোচ্ছে ১৫০ টাকা করে। এদিকে লাহোরে কেজি প্রতি চিনির দাম ১৪৫ টাকা। কোয়েট্টায় এক কেজি চিনির দাম ১৪২ টাকা। 3/5 অর্থসংকটের জেরে পাকিস্তানে মুদ্রাস্ফীতির হার রকেট গতিতে ছুটছিল এতদিন। আলু, আটা, গম, চা, ডিম, চালের দাম আকাশছোঁয়া সেই দেশে। এই আবহে মুদ্রাস্ফীতিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে বড় পদক্ষেপ করেছিল পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। পাকিস্তানের বেঞ্চমার্ক সুদের হার ১০০ বেসিস পয়েন্ট বা ১ শতাংশ বাড়িয়ে ২২ শতাংশ করে সেদেশের স্টেট ব্যাঙ্ক। তবে তাতেও লাভ হয়নি। 4/5 এর আগে গত একবছরে একাধিক রিপোর্টে উঠে এসেছে যে রেশনের আটা পেতে গিয়ে সাধারণ মানুষ পদপিষ্ট হয়েছেন। জীবনের ঝুঁকি নিয়েও বেলুনে ভরে রান্নার গ্যাস বিক্রি করা হচ্ছে। এই আবহে পাকিস্তানের অর্থনীতি প্রায় ভেঙে পড়ার মুখে পৌঁছে গিয়েছিল। তবে সাম্প্রতিককালে বেশ কিছু জায়গায় থেকে অর্থসাহায্য পেয়েছে পাকিস্তান। তাতেই ফের ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা চলছে। 5/5 বিগত বেশ কয়েক মাস ধরেই অর্থকষ্টে ভুগছে পাকিস্তান। বৈদেশিক মুদ্রা ভাণ্ডারে ডলারের বদলে জমছিল ধুলো। তবে এরই মাঝে কিছুটা স্বস্তি পায় ইসলামাবাদ। সম্প্রতি সৌদি আরব থেকে ২ বিলিয়ন ডলার পেয়েছিল পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। পাকিস্তানি মুদ্রায় যা প্রায় ৫৫ হাজার কোটি টাকা। এছাড়াও আইএমএফ-এর থেকে প্রথম দফায় ১.২ বিলিয়ন ডলার পাবে ইসলামাবাদ। পাকিস্তানি মুদ্রায় যা ৩২,৯১৩ কোটি টাকা।