পরোটায় পোকা, রুটিতে আরশোলা... বন্দে ভারতের খাবারের গুণগত মান নিয়ে সম্প্রতি প্রশ্ন উঠেছিল। এই নিয়ে আইআরসিটিসিকে আগেই সতর্ক করেছিল রেল। আর এবার বন্দে ভারতে ভ্রমণের যাত্রী অভিজ্ঞতা আরও মধুর করতে বড় পদক্ষেপ করতে চলেছে রেল।
1/6 কয়েকদিন আগে বন্দে ভারতের পরোটায় মিলেছিল পোকা। এরপর গত জুলাই মাসেই রুটিতে মিলেছিল আরশোলা। বারবার এই ধরনের ঘটনা ঘটায় আইআরসিটিসিকে আগেই সতর্ক করেছিল রেল। আর এবার বন্দে ভারতে ভ্রমণের যাত্রী অভিজ্ঞতা আরও মধুর করতে বড় পদক্ষেপ করতে চলেছে রেল। এই মর্মে রেল বোর্ডের তরফে আইআরসিটিসি এবং ক্রিস-কে চিঠি দিয়েছে। তাছাড়া রেলের সব ডিভিশনকেও চিঠি দেওয়া হয়েছে।
2/6 রেল বোর্ড চিঠিতে লিখেছে, বন্দে ভারতে কেটারিং সার্ভিস নিয়ে যাত্রীদের অভিযোগ পেলে তার সমাধানসূত্র বের করতে ক্রিস এবং আইআরসিটিসি-কে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। এদিকে এবার থেকে এসএমএস-এর মাধ্যমে যাত্রীদের কেটারিং সার্ভিস সংক্রান্ত তথ্য দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। এদি চার্ট তৈরির পরে এবং ট্রেন ছাড়ার ১৫ মিনিট আগে পর্যন্ত যারা বন্দে ভারতের টিকিট কাটবেন, সেই যাত্রীদের আমিষ খাওয়ার দেওয়া যাবে না। সময়ের অভাবের জেরেই এই সিদ্ধান্ত। তবে অন্যান্য ক্ষেত্রে যাত্রীদের থেকে তাদের পছন্দ মতো বিকল্প বেছে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে।
3/6 এদিকে টিকিট কাটার সময় যদি কেউ খাবার না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন, যাত্রার সময় তারাও খাবার পেতে পারেন। তার জন্য তাদের অতিরিক্ত ৫০ টাকা দিতে হবে। এই বিষয়টা যাতে যাত্রীরা জানতে পারেন, তার জন্য ট্রেনে এই নিয়ে ঘোষণা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রেল বোর্ডের তরফে।
4/6 এদিকে আগামিকাল রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর বাংলা থেকে আরও দু'টি বন্দে ভারত ছুটতে শুরু করবে। আগামিকাল দেশজুড়ে মোট ৯টি বন্দে ভারতের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সেই তালিকাতেই আছে হাওড়া-পটনা এবং হাওড়া-রাঁচি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। দু'টি ট্রেনই দুপুর নাগাদ এসে পৌঁছাবে হাওড়ায়। এরপর বিকেলের দিকে ট্রেনগুলি ফের নিজের গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেবে।
5/6 ভোর ৫টা ১৫ মিনিটে রাঁচি থেকে ছাড়বে হাওড়াগামী বন্দে ভারত। তা হাওড়ায় পৌঁছাবে বেলা ১২ টা ২০ মিনিটে। ফিরতি পথে দুপুর ৩ টে ৪৫ মিনিটে হাওড়া থেকে ছাড়বে। রাঁচিতে পৌঁছাবে রাত ১০ টা ৫০ মিনিটে। অর্থাৎ ৪৬৩ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে সাত ঘণ্টা পাঁচ মিনিট লাগবে। রাঁচি-হাওড়া বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সম্ভাব্য স্টপেজ হতে চলেছে - মুরি, পুরুলিয়া জংশন, টাটানগর এবং খড়্গপুর।