হিন্দি বলয়ে চরম ভরাডুবি হয়েছে। তারইমধ্যে কংগ্রেসের মুখ বাঁচিয়েছে তেলাঙ্গানা। সেখানে ভারত রাষ্ট্রীয় সমিতিকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চলেছে কংগ্রেস। দক্ষিণ ভারতের রাজ্যে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার পতে এগিয়ে চলেছে হাত শিবির। কিন্তু বাকি তিনটি রাজ্যে ফ্লপ শোয়ের মধ্যে কীভাবে তেলাঙ্গানায় বাজিমাত করল কংগ্রেস?
1/5 প্যাট কামিন্সের মতো কৌশল, আর রোহিত শর্মার মতো আগ্রাসন - দুইয়ের সংশ্রিমণে তেলাঙ্গানায় বাজিমাত করল কংগ্রেস। এবার তেলাঙ্গানায় চাপে ছিল বিদায়ী ভারত রাষ্ট্রীয় সমিতি (বিআরএস)। আর নিখুঁত কৌশলে সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করেছে কংগ্রেস। ঠিক যে কাজটা এবারের বিশ্বকাপে ফাইনালে করেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক। আর রোহিত যেমন বিশ্বকাপে আগ্রাসী খেলেছেন, ঠিক সেই কাজটাই নির্বাচনী প্রচারের সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় করেছে কংগ্রেস। (ছবি সৌজন্যে পিটিআই, এপি ও রয়টার্স)
2/5 কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের (কেসিআর) বিরুদ্ধে নেতিবাচক ভোট: তেলাঙ্গানার জন্মলগ্ন থেকে ক্ষমতায় থাকা কেসিআর এবং তাঁর দলের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠান-বিরোধী হাওয়া যথেষ্ট জোরদার ছিল। ভারত রাষ্ট্রীয় সমিতির (বিআরএস) গ্রামীণ এবং মফঃস্বল দুর্গে ফাটল ধরা পড়েছিল। আর সেটা কাজে লাগিয়েছে কংগ্রেস। (ছবি সৌজন্যে পিটিআই)
3/5 কংগ্রেসের ৬ প্রতিশ্রুতি: ছয় গ্যারান্টির পরিবর্তে তেলাঙ্গানায় জয়ের 'ওয়ারেন্টি' পেয়েছে কংগ্রেস। কর্ণাটকের মতোই তেলাঙ্গানায় ইস্তাহারে ছ'টি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল হাত শিবির। তাতে আস্থা রেখেছেন তেলাঙ্গানাবাসী। আর কংগ্রেসের কাজটা আরও সহজ করে দিয়েছেন কেসিআররা। গত কয়েক বছরে দলিত এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির একাধিক প্রতিশ্রুতি করতে পারেনি তাঁর সরকার। (ছবি সৌজন্যে পিটিআই)
4/5 সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্কে থাবা কংগ্রেসের: সংখ্যালঘু ভোট হল 'কিংমেকার'। আর সেই ভোটব্যাঙ্কে থাবা বসিয়েছে কংগ্রেস। বিশেষত এআইএমআইএম এবং বিআরএসের মতো দল থাকলেও সংখ্যালঘু মানুষে মন করে নিয়েছে হাত শিবির। যা নিজামদের রাজ্যে কংগ্রেসের ভালো ফলাফলের অন্যতম কারণ। (ছবি সৌজন্যে পিটিআই)
5/5 সোশ্যাল মিডিয়ায় আগ্রাসী প্রচার: বিজেপি যে ধাঁচে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করে থাকে, এবার তেলাঙ্গানা নির্বাচনের আগে ঠিক করেছে কংগ্রেস। সোশ্যাল মিডিয়া বিশেষজ্ঞ সুনীল কানুগোলুর তত্ত্বাবধানে অনলাইনে প্রচারের ঝাঁঝ বাড়ানো হয়। বিশেষত প্রতিষ্ঠান-বিরোধী হাওয়াকে কাজে লাগাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচুর ভিডিয়ো, ছবি, মিম, পোস্টার শেয়ার করা হতে থাকে। যা নতুন ভোটার তো বটেই, বয়স্ক ভোটারদেরও টেনে এনেছে। (ছবি সৌজন্যে এপি)