বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > Jaishankar on India-Russian Relation: ভারত-রুশ রসায়নের ফর্মুলা কী? মার্কিন মুলুকে দাঁড়িয়ে জবাব দিলেন জয়শংকর
Jaishankar on India-Russian Relation: ভারত-রুশ রসায়নের ফর্মুলা কী? মার্কিন মুলুকে দাঁড়িয়ে জবাব দিলেন জয়শংকর Updated: 30 Sep 2023, 01:44 PM IST Abhijit Chowdhury ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে আমেরিকা সহ পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলির সঙ্গে সম্পর্কের অবন ঘটেছে রাশিয়ার। রীতিমতো 'ঠান্ডা যুদ্ধ'-এর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে পশ্চিম এবং রাশিয়ার মধ্যে। এদিকে বিগত কয়েক বছরে আমেরিকার সঙ্গে বন্ধুত্ব পোক্ত হয়েছে ভারতের। তবে রাশিয়ার সাথে ভারতের বন্ধুত্ব অটুট রয়েছে। এই নিয়ে মুখ খুললেন জয়শংকর। 1/7 ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই ভারত-রাশিয়ার বন্ধুত্ব নিয়ে পশ্চিমের দেশগুলি বারবার প্রশ্ন তুলে এসেছে। এই ইস্যুতে এবার মার্কিন মুলুকে দাঁড়িয়েই জবাব দিলেন এস জয়শংকর। ভারতের বিদেশমন্ত্রীর কথায়, ভারত-রাশিয়ার বন্ধুত্ব 'অসাধারণ কিছু নয়', তবে এই দুই দেশের বন্ধুত্ব 'অনন্য এবং স্থিতিশীল'। ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার বন্ধুত্ব এবং অন্যান্য দেশের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্কের তুলনা টানেন। 2/7 জয়শংকর বলেন, 'আপনি যদি বিগত ৭০ বছরের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিষয়ে বিবেচনা করেন, তাহলে দেখবেন, মার্কিন-রাশিয়া সম্পর্ক, চিন-রাশিয়া সম্পর্ক, মার্কিন-চিন সম্পর্ক... গত ৭০ বছরে প্রায় প্রতিটি বড় সম্পর্কের ক্ষেত্রেই প্রচুর অস্থিরতা দেখা গিয়েছে। এই সম্পর্কগুলিতে উত্থান-পতন ছিল। তবে ভারত-রাশিয়া সম্পর্ক খুবই ব্যতিক্রমী। আমাদের দুই দেশের সম্পর্ক খুবই স্থিতিশীল থেকেছে।' 3/7 জয়শংকরের কথায়, 'ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকে ইউরোপিয়ান দেশগুলির সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক বদলে গিয়েছে। অনেক দেশই রাশিয়াকে নিয়ে হিসেব কষেছে। ভারতও হিসেব-নিকেশ করেছে। আমরা দেখেছি যে রাশিয়া ক্রমেই সচেতনভাবে ইউরোপ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে দূরে অ-পশ্চিমী বিশ্বের দিকে মনোনিবেশ করবে। এশিয়ার দিকে আরও বেশি করে তাকাবে তারা। সম্ভবত অন্যান্য অঞ্চলের দিকেও তাকাবে। তবে এশিয়া অর্থনৈতিকভাবে সবচেয়ে সক্রিয়। তাই আমার অনুমান যে রাশিয়া এশিয়ার দিকে ঝুঁকবে। আর এর মধ্যে ভারত অন্যতম বড় অর্থনীতি। তাই রাশিয়া আমাদের দিকেও মনোনিবেশ করবে।' 4/7 এদিকে মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে ভারতের অর্থনৈতিক সম্পর্ক প্রসঙ্গে বিদেশমন্ত্রী বলেন, 'আমাদের বুঝতে হবে যে ভারত যেহেতু একটি বড় বাজার, বড় অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে, তাই মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলির অর্থনীতিতে আমাদের প্রভাব অনেক বেশি। আমরা সংযুক্ত আরব আমিরাতের বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার এবং আমরা সম্ভবত সৌদিদের তালিকায় শীর্ষ তিনের মধ্যে থাকব।' 5/7 জয়শংকরের বক্তব্য, 'ভারত অ-পশ্চিমী, তবে পশ্চিম বিরোধী নয়। আজ যে পৃথিবীতে আমরা থাকি তার অনেকটাই পশ্চিমী বিশ্বের দ্বারা প্রভাবিত। তবে যদি বিশ্বের অগ্রগতির পথের দিকেই নজর দেওয়া হয়, তাহলে দেখা যাবে বিগত ৮০ বছরে তাতে আমূল পরিবর্তন এসেছে। সদ্য সমাপ্ত জি২০ শীর্ষ সম্মেলন তার অন্যতম উদাহরণ। তাই এই জি২০ সম্মেলন থেকেই যে কেউ দেখতে পারবে যে পৃথিবী কোন পথে বদলে যাচ্ছে।' 6/7 জয়শংকর এরপর আরও বলেন, 'ভারতের দৃষ্টিভঙ্গির দিক থেকে বললে আমি এটা স্পষ্ট করে দিতে চাই, ভারত অ-পশ্চিমী। তবে আমরা কোনও ভাবেই পশ্চিম বিরোধী নই। আমরা এগিয়ে যেতে চাই। জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে আমরা যথেষ্ট উদ্বিগ্ন এবং এটার ওপর গুরুত্ব দিয়ে থাকি। দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়নের পথ খুঁজে বের করতে হলে আমাদের সেই অর্থনৈতিক শক্তিরও প্রয়োজন।' 7/7 এরপর বিশ্বের 'অর্ডার' বদল নিয়ে জয়শংকর বলেন, 'আমরা বিশ্বার করি পরিবর্তনের প্রয়োজন রয়েছে। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে এমন একটি দেশকে স্থায়ী সদস্য করা হচ্ছে না যারা বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র, বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি। যে মহাদেশে ৫০টিরও বেশি দেশ, সেই মহাদেশের কোনও সঠিক প্রতিনিধিত্ব এই পরিষদে নেই। এই আবহে রাষ্ট্রসংঘের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে তো প্রশ্ন উঠবেই।'