টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেস (টিসিএস), ইনফোসিস এবং উইপ্রো- ভারতের তিনটি সেরা তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় এক বছরে একলপ্তে কমল কর্মীর সংখ্যা। যে সংখ্যাটা নেহাত কম নয়। কিন্তু কেন এত কর্মী কমল? নয়া অর্থবর্ষে কি পরিস্থিতি ভালো ঠেকছে?
1/5 গত অর্থবর্ষে ভারতের তিনটি সেরা তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় কর্মীর সংখ্যা কমেছে ৬৪,০০০। দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেস (টিসিএস), ইনফোসিস এবং উইপ্রোর মোট কর্মীর সংখ্যা প্রায় ৬৪,০০০ কমে গিয়েছে। যে তিনটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা শেষ দুটি দশকে দেশের ইঞ্জিনিয়ারিং এবং প্রযুক্তি ক্ষেত্রে সবথেকে বেশি লোক নিয়োগ করেছে। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে Wipro)
2/5 নয়া অর্থবর্ষে কি চাকরির পরিস্থিতি ভালো হবে? ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, চলতি অর্থবর্ষে যে প্রাথমিক পূর্বাভাস সামনে এসেছে, তাতে এবারও পরিস্থিতি খুব একটা ভালো হবে না বলে অনুমান করা হচ্ছে। ইনফোসিসের অনুমান, পুরো অর্থবর্ষে ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার মুনাফা এক শতাংশ থেকে তিন শতাংশ বাড়তে পারে। উইপ্রো তো আবার আশঙ্কা করছে যে নয়া অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে ১.৫ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে মুনাফা। বড়জোর ০.৫ শতাংশ বাড়তে পারে। শেষপর্যন্ত সেই পূর্বাভাস যদি সত্যি হয়, তাহলে ইঞ্জিনিয়ারিং গ্র্যাজুয়েটদের জন্য সেটা স্বস্তির হবে না। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে Wipro)
3/5 কিন্তু কেন এরকম পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে? তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনাভাইরাস মহামারীর জেরে যে 'বুম' তৈরি হয়েছিল, তার ফলে প্রচুর কর্মচারীকে নিয়োগ করা হয়েছিল। কিন্তু বাজারের যা পরিস্থিতি, তাতে এখন তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলিকে কর্মী সংখ্যা কমাতে হচ্ছে। সঙ্গে আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স বা এআইয়েরও (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) প্রভাব আছে। সবমিলিয়ে গত অর্থবর্ষে ভারতের তিনটি সেরা তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় কর্মীর সংখ্যা এত কর্মচারী কমে গিয়েছে। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে ফেসবুক Infosys)
4/5 ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিষয়টি নিয়ে উইপ্রোর প্রধান HR সৌরভ গোবিল জানিয়েছেন যে চাহিদার উপর নির্ভর করে কর্মীর সংখ্যা কমেছে। তাছাড়া কাজ চালানোর ক্ষেত্রে দক্ষতা বেড়েছে। অন্যদিকে, ইনফোসিসের চিফ ফিনান্সিয়াল অফিসার জয়েশ সংঘরাজকা জানিয়েছেন, গত বছরে চাহিদার ক্ষেত্রে যে পরিবর্তন এসেছে, তার জেরেই কর্মচারীর সংখ্যা কমেছে। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে ফেসবুক Infosys)
5/5 সেইসঙ্গে উইপ্রোর প্রধান HR দাবি করেছেন যে এখনও তথ্য়প্রযুক্তি পরিষেবার ক্ষেত্রে এখনও প্রচুর লোকবলের প্রয়োজন হয়। তবে ভবিষ্যতে AI-র প্রভাব যত বাড়বে, তত লোকবলের উপর প্রভাব পড়তে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, উইপ্রোর শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন যে দীর্ঘকালীন সময় লোকবলের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে পিটিআই)