বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > Underground Bunkers in Aksai Chin: বেড়েছে PLA-র গতিবিধি, আকসাই চিনে মাটির নীচে তৈরি হয়েছে বাঙ্কার, গড়ে উঠেছে নয়া সড়ক
Underground Bunkers in Aksai Chin: বেড়েছে PLA-র গতিবিধি, আকসাই চিনে মাটির নীচে তৈরি হয়েছে বাঙ্কার, গড়ে উঠেছে নয়া সড়ক Updated: 30 Aug 2023, 06:42 AM IST Abhijit Chowdhury বহু দশক আগেই ভারতের থেকে আকসাই চিন ছিনিয়ে নিয়েছিল পিএলএ বা পিপলস লিবারেশন আর্মি। এত বছর ধরে অবৈধ ভাবে সেই ভূখণ্ড দখল করে রেখেছে তারা। আর বিগত কয়েক বছরে লাদাখের আরও বহু জায়গায় চিনা আগ্রাসন দেখা গিয়েছে। এরই মধ্যে আসাই চিনে নতুন করে পিএলএ-র গতিবিধি লক্ষ্য করা গিয়েছে। 1/5 সম্প্রতি ম্যাক্সার-এর উপগ্রহ মানচিত্রে দেখা গিয়েছে, আকসাই চিন এলাকায় মাটির নীচে বাঙ্কার তৈরি করেছে চিনা সেনা। মাটির নীচে আরও বেশ কিছু সামরিক স্থাপত্য গড়ে তুলেছে তারা। কোনও মিসাইল হামলার ক্ষেত্রে যাতে তাদের সামরিক পরিকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, তার জন্যই এই ব্যবস্থা চিন। তবে হামলা করবে কে? ভারত চিরকালই শান্তির বার্তা দিয়ে এসেছে। হামলা না হলে নিজে থেকে আক্রমণ ভারত করবে না। তাহলে কি চিন নিজেই হামলার ছক কষছে? (ছবি সৌজন্যে - ম্যাক্সার) 2/5 উল্লেখ্য, আকসাই চিনে এই আন্ডাগ্রাউন্ড বাঙ্কারের খবর এমন একটি সময় প্রকাশ্যে এল, যখন চিনা 'স্ট্যান্ডার্ড' মানচিত্র নিয়ে নতুন করে রেশারেশি শুরু হয়েছে দুই দেশের মধ্যে। সোমবার প্রকাশিত চিনা মানচিত্রে অরুণাচলপ্রদেশ এবং লাদাখকে নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করেছে চিন। যার আপত্তি জানিয়েছে ভারত। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এও বলেছেন, 'কেউ মানচিত্রে ভুলভাল দাবি করলেই সেই জমি তাদের হয়ে যায় না।' তবে এরই মধ্যে আকসাই চিনে গতিবিধি বাড়িয়েছে পিএলএ। 3/5 ম্যাক্সারের থেকে হিন্দুস্তান টাইমস এই এলাকার যে উপগ্রহ চিত্র হাতে পেয়েছে, তা পর্যালোচনা করে দেখা গিয়েছে, ২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকে এবছরের অগস্ট পর্যন্ত একাধিক আন্ডাগ্রাউন্ড বাঙ্কার গড়ে উঠেছে আকসাই চিন এলাকায়। প্রায় ১৫ বর্গ কিলোমিটর জুড়ে ৬টি জায়গায় গড়ে উঠেছে এই ধরনের বাঙ্কার। এর আগে ২০২০ সালে যখন দুই দেশের সেনার মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল, তখন সেই এলাকা পুরো খালি ছিল। 4/5 উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছে, আকসাই চিনের যেখানে পিএলএ এই সব আন্ডারগ্রাউন্ড বাঙ্কার গড়ে তুলেছে, সেটি প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে মাত্র ৭০ কিলোমিটার দূরে। এদিকে এবছরের অগস্টের চিত্রে দেখা গিয়েছে, এই এলাকায় 'আর্থ মুভিং' যান বা খননকার্যে ব্যবহৃত যন্ত্র রয়েছে। সেখানে একাধিক নতুন রাস্তা নির্মাণের কাজও চলছে। এদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, কোনও ধরনের মিসাইল হামলা থেকে অস্ত্র, বারুদ, কমান্ড পোস্টকে রক্ষা করতেই এই ধরনের বাঙ্কার তৈরি করা হয়ে থাকে। 5/5 এদিকে সোমবার প্রকাশিত চিনের নয়া স্ট্যান্ডার্ড মানচিত্রে অরুণাচলপ্রদেশকে 'দক্ষিণ তিব্বত' আখ্যা দিয়ে নিজেদের এলাকা বলে দাবি করেছে বেজিং। এর আগে গত এপ্রিলেই অরুণাচলের ১১টি জায়গার 'নামকরণ' করেছিল বেজিং। এর আগে মার্চে ইটানগরে জি২০-র বৈঠকে যোগ দেয়নি চিন। এদিকে নয়া মানচিত্রে তাইওয়ানকেও নিজেদের ভূখণ্ডের অংশ হিসেবে দেখিয়েছে চিন। তাছাড়া বিতর্কিত দক্ষিণ চিন সাগরের বিস্তীর্ণ অঞ্চলকেও নিজেদের বলে দাবি করেছে চিন।