কয়েকমাস আগেই ইসরোর চন্দ্রযান ৩ অভিযান সাফল্য লাভ করেছে। আর এরই মধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে চতুর্থ চন্দ্রাভিযানের পরিকল্পনা। আমদাবাদে অবস্থিত স্পেস অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারের প্রধান নীলেশ দেশাই একথা জানিয়েছেন গত শুক্রবার। এই অভিযানের লক্ষ্য কী হবে? সেই সম্পর্কেও ধারণা দিয়েছেন নীলেশ দেশাই।
1/5 গত শুক্রবার স্পেস অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারের প্রধান নীলেশ দেশাই জানালেন, চতুর্থ চন্দ্রাভিযানের পরিকল্পনা শুরু করেছে ইসরো। সঙ্গে চাঁদের মেরু ঘুরে দেখার পরিকল্পনা করা হচ্ছে সেই অভিযানে। উল্লেখ্য, তৃতীয় চন্দ্রাভিযানেও চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে ঘুরে দেখেছিল ইসরোর রোভার। তবে এবার আরও বড় অঞ্চল জুড়ে রোভারকে ঘোরাতে চাইছে ইসরো।
2/5 এবারের চন্দ্রাভিযান মাত্র ১৪ দিনের মতো পরিচালিত হয়েছিল। তবে চতুর্থ চন্দ্রাভিযান প্রায় ১০০ দিনের জন্য পরিচালনা করার পরিকল্পনা চলছে। অর্থাৎ, নতুন চন্দ্রযানটি এমন ভাবে তৈরি করা হবে যাতে চাঁদে অন্ধকার নেমে নতুন করে সূর্য উঠলে আবার সেটি জেগে ওঠে। আর শুধু তাই নয়, চন্দ্রযান ৪ পৃথিবীতে চাঁদের নমুনা নিয়ে যাতে ফিরে আসে, তারও পরিকল্পনা চলছে।
3/5 রিপোর্ট অনুযায়ী, চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে ৯০ ডিগ্রি খাড়া হয়ে যাতে চন্দ্রযান ৪ অবতরণ করে, সেভাবেই তৈরি করা হবে মহাকাশযানটিকে। এদিকে যে রোভার এবার পাঠানো হবে, তা যেন ১ কিলোমিটার পর্যন্ত পথ অতিক্রম করতে পারে, সেদিকে নজর রাখা হবে। এদিকে চন্দ্রযান ৩-কে চাঁদের একটি মাত্র দিনের জন্য তৈরি করা হয়েছিল। আর চন্দ্রযান ৪-কে তৈরি করা হবে চাঁদে ৭ দিনের জন্য। অর্থাৎ, পৃথিবীর প্রায় ১০০ দিন চাঁদে সেটি কাজ করবে।
4/5 এবারের চন্দ্রাভিযানে রোভারের ওজন আরও ভারী হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ৩৫০ কেজি ওজনের রোভার চাঁদে পাঠাতে চাইছে ইসরো। গতবারের তুলনায় যা ১০০ গুণ বেশি হবে। এদিকে কতদিনে এই চন্দ্রাভিযান বাস্তবায়িত করা যাবে? নীলেশ দেশাইয়ের দাবি, প্রায় ৫ থেকে ১০ বছর লেগে যাবে এই চন্দ্রাভিযান বাস্তবায়িত করতে। আপাতত, ২০২৮ সালে এই অভিযান করার কথা ভেবে এগিয়ে চলেছে পরিকল্পনা।
5/5 এদিকে চতুর্থ চন্দ্রাভিযানের সময় চাঁদের দক্ষিণ মেরু ঘুরে দেখার যে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে, তাতে ইসরোর সঙ্গে যোগ দেবে জাপানের মহাকাশ গবেষণা সংস্থাও। এর আগে চন্দ্রযান ৩-এর রোভার ৫০০ মিটার পর্যন্ত ঘুরেছিল চাঁদে। আর পরেরবার ১ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ঘোরার পরিকল্পনা করছে ইসরো। আর সবথেকে বড় বিষয়, এই অভিযানটি এমনভাবে পরিকল্পনা করা হচ্ছে, যাতে মহাকাশযানটি চাঁদ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পৃথিবীতে ফিরে আসে।