বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > WB Ram Navami Violence Updates: রামনবমীতে রক্তাক্ত মুর্শিদাবাদ, ধারালো অস্ত্রের কোপ ও বোমা বর্ষণে জখম বহু পুলিশ সহ ১৮
WB Ram Navami Violence Updates: রামনবমীতে রক্তাক্ত মুর্শিদাবাদ, ধারালো অস্ত্রের কোপ ও বোমা বর্ষণে জখম বহু পুলিশ সহ ১৮ Updated: 18 Apr 2024, 07:11 AM IST Abhijit Chowdhury এবারও রামনবমী ঘিরে পশ্চিমবঙ্গে সংঘর্ষ ঘটল বলে দাবি করা হল রিপোর্টে। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, গতকাল মুর্শিদাবাদ জেলার শক্তিপুরে রামনবমীর মিছিল ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। এর জেরে একাধিক পুলিশকর্মী, দুই নাবালক সহ মোট ১৮ জন জখম হয়েছেন। 1/5 রিপোর্ট অনুযায়ী, বুধবার মুর্শিদাবাদের শক্তিপুরে রামনবমীর মিছিল ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। শক্তিপুর হাই স্কুল মোড়ের কাছে রামনবমীর শোভাযাত্রায় দুষ্কৃতীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, রামনবমীর মিছিলটি যখন একটি মসজিদের সামনে দিয়ে যাচ্ছিল, তখনই নাকি হামলা চালানো হয়েছিল। 2/5 এদিকে সংঘর্ষের জেরে দুই নাবালক, একাধিক পুলিশকর্মী সহ মোট ১৮ জন জখম হয়েছেন বলে দাবি করা হয় রিপোর্টে। সংঘর্ষের খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে যান মুর্শিদাবাদের ডিআইজি সৈয়দ ওয়াকার রাজা। এলাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। তারই সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীও মোতায়েন করা হয় শক্তিপুরে। 3/5 জানা গিয়েছে, হিংসা ছড়াতেই সেই এলাকার একাধিক দোকানে ভাঙচুর চালানো হয়। দুই গোষ্ঠীকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশকে নাকি লাঠিচার্জ করতে হয়েছিল। সঙ্গে কাঁদানে গ্যাসের শেলও ফাটাতে হয়েছিল পুলিশকে। এদিকে রিপোর্ট অনুযায়ী, স্থানীয়রা দাবি করছে, পুলিশ প্রায় ২০ জনকে এই হিংসার ঘটনায় আটক করে গতকাল। তাদের জেরা করা হচ্ছে। এদিকে হিংসার কারণ সম্পর্কে পুলিশ আজ সকাল পর্যন্ত কোনও বিবৃতি প্রকাশ করেনি বলে জানা গিয়েছে রিপোর্টে। 4/5 এদিকে টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, জখম পুলিশকর্মীদের মধ্যে অন্যতম হলেন শক্তিপুর থানার আইসি। এদিকে জখম ব্যক্তিদের অনেকেরই হাতে এবং পায়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এমনকী বোমাও ছোড়া হয় পুলিশকে লক্ষ্য করে। এই আবহে অনেক পুলিশকর্মীর শরীরে বোমার স্প্লিন্টারের আঘাতও রয়েছে। 5/5 জখম ব্যক্তিদের অনেককেই মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্যে। এদিকে স্থানীয়দের বক্তব্য অনুযায়ী, রামনবমীর শোভাযাত্রায় তরোয়াল প্রদর্শন করার জেরে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। এমনকী মসজিদের দিকে কাদা ছোড়া হয়েছিল বলেও অভিযোগ। এদিকে অপর পক্ষের দাবি, বিনা প্ররোচনাতেই শোভাযাত্রায় হামলা চালানো হয়েছিল। এদিকে শোভাযাত্রার সঙ্গে থাকা পুলিশের সংখ্যার থেকে হামলাকারীর সংখ্যা বেশি ছিল। তাই প্রাথমিক ভাবে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি।