বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > World Cup History: প্রথম ৯টি আসরে একবারও নয়, শেষ ৩ বার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয় আয়োজক দেশ, ভারত কি ট্রেন্ড বজায় রাখতে পারবে?
World Cup History: প্রথম ৯টি আসরে একবারও নয়, শেষ ৩ বার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয় আয়োজক দেশ, ভারত কি ট্রেন্ড বজায় রাখতে পারবে? Updated: 30 Sep 2023, 03:35 PM IST Abhisake Koley World Cup 2023: শেষ ৩টি বিশ্বকাপের ট্রফি হাতে তোলে আয়োজক দেশ। ২০১১ সালে ট্রেন্ড শুরু করে টিম ইন্ডিয়া। এবার সেটা বজায় রাখার চ্যালেঞ্জ ভারতের সামনে। দেখুন বিশ্বকাপ ফাইনালের বর্ণোজ্জ্বল ইতিহাস। 1/12 ১৯৭৫ সালে উদ্বোধনী ওয়ান ডে বিশ্বকাপ আয়োজন করে ইংল্যান্ড। ফাইনালে ইয়ান চ্যাপেলের অস্ট্রেলিয়াকে ১৭ রানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ক্লাইভ লয়েডের ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শুরুতে ব্যাট করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৬০ ওভারে ৮ উইকেটের বিনিময়ে ২৯১ রান তোলে। পালটা ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া ৫৮.৪ ওভারে ২৭৪ রানে অল-আউট হয়ে যায়। ছবি- আইসিসি। 2/12 ১৭৭৯ সালেও বিশ্বকাপ আয়োজিত হয় ইংল্যান্ডে। ফাইনালে মাইক ব্রেয়ারলির ইংল্যান্ডকে ৯২ রানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ক্লাইভ লয়েডের ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শুরুতে ব্যাট করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৬০ ওভারে ৯ উইকেটের বিনিময়ে ২৮৬ রান তোলে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ড ৫১ ওভারে ১৯৪ রানে অল-আউট হয়ে যায়। ওয়েস্ট ইন্ডিজের এটি দ্বিতীয় বিশ্বকাপের ট্রফি। ছবি- গেটি। 3/12 ১৯৮৩ সালে বিশ্বকাপ আয়োজিত হয় যুগ্মভাবে ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে। ফাইনালে ক্লাইভ লয়েডের ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৮৩ রানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় কপিল দেবের ভারত। শুরুতে ব্যাট করে ভারত ৫৪.৪ ওভারে ১৮৩ রানে অল-আউট হয়ে যায়। পালটা ব্যাট করতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৫২ ওভারে ১৪০ রানে গুটিয়ে যায়। ছবি- গেটি। 4/12 ১৯৮৭ সালে বিশ্বকাপ আয়োজিত হয় যুগ্মভাবে ভারত ও পাকিস্তানে। ফাইনালে মাইক গ্যাটিংয়ের ইংল্যান্ডকে ৭ রানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় অ্যালান বর্ডারের অস্ট্রেলিয়া। শুরুতে ব্যাট করে অস্ট্রেলিয়া ৫০ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ২৫৩ রান তোলে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ড ৫০ ওভারে ৮ উইকেটের বিনিময়ে ২৪৬ রানে আটকে যায়। ছবি- গেটি। 5/12 ১৯৯২ সালে বিশ্বকাপ আয়োজিত হয় যুগ্মভাবে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে। ফাইনালে গ্রাহাম গুচের ইংল্যান্ডকে ২২ রানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ইমরান খানের পাকিস্তান। শুরুতে ব্যাট করে পাকিস্তান ৫০ ওভারে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ২৪৯ রান সংগ্রহ করে। পালটা ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ড ৪৯.২ ওভারে ২২৭ রানে অল-আউট হয়ে যায়। ছবি- গেটি। 6/12 ১৯৯৬ সালে বিশ্বকাপ আয়োজিত হয় যুগ্মভাবে ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায়। ফাইনালে মার্ক টেলরের অস্ট্রেলিয়াকে ৭ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় রণতুঙ্গার শ্রীলঙ্কা। শুরুতে ব্যাট করে অস্ট্রেলিয়া ৫০ ওভারে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ২৪১ রান তোলে। পালটা ব্যাট করতে নেমে শ্রীলঙ্কা ৪৬.২ ওভারে ৩ উইকেটের বিনিময়ে ২৪৫ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। শ্রীলঙ্কা টুর্নামেন্টের যুগ্ম আয়োজক হলেও তারা ফাইনাল খেলে লাহোরে। তাই ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ জেতা হয়নি দ্বীপরাষ্ট্রের। ছবি- গেটি। 7/12 ১৯৯৯ সালে বিশ্বকাপ আয়োজিত হয় যুগ্মভাবে ইংল্যান্ড, ওয়েলস, স্কটল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডসে। ফাইনালে ওয়াসিম আক্রমের পাকিস্তানকে ৮ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় স্টিভ ওয়ার অস্ট্রেলিয়া। প্রথমে ব্যাট করে পাকিস্তান ৩৯ ওভারে মাত্র ১৩২ রানে অল-আউট হয়ে যায়। জবাবে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া ২০.১ ওভারে ২ উইকেটের বিনিময়ে ১৩৩ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। অস্ট্রেলিয়ার এটি দ্বিতীয় বিশ্বকাপের ট্রফি। ছবি- গেটি। 8/12 ২০০৩ সালে বিশ্বকাপ আয়োজিত হয় যুগ্মভাবে দক্ষিণ আফ্রিকা, কেনিয়া ও জিম্বাবোয়েতে। ফাইনালে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন ভারতকে ১২৫ রানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় রিকি পন্টিংয়ের অস্ট্রেলিয়া। শুরুতে ব্যাট করে অস্ট্রেলিয়া ৫০ ওভারে ২ উইকেটের বিনিময়ে ৩৫৯ রান সংগ্রহ করে। পালটা ব্যাট করতে নেমে ভারত ৩৯.২ ওভারে ২৩৪ রানে অল-আউট হয়ে যায়। অস্ট্রেলিয়ার এটি তৃতীয় বিশ্বকাপের ট্রফি। ছবি- রয়টার্স। 9/12 ২০০৭ সালে বিশ্বকাপ আয়োজিত হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজে। ফাইনালে মাহেলা জয়াবর্ধনের শ্রীলঙ্কাকে ডকওয়ার্থ-লুইস নিয়মে ৫৩ রানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় রিকি পন্টিংয়ের অস্ট্রেলিয়া। শুরুতে ব্যাট করে অস্ট্রেলিয়া ৩৮ ওভারে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ২৮১ রান তোলে। জয়ের জন্য ৩৬ ওভারে ২৬৯ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে পালটা ব্যাট করতে নামে শ্রীলঙ্কা। তারা ৮ উইকেটে ২১৫ রানে আটকে যায়। অস্ট্রেলিয়ার এটি চতুর্থ বিশ্বকাপের ট্রফি। ছবি- এএফপি। 10/12 ২০১১ সালে বিশ্বকাপ আয়োজিত হয় যুগ্মভাবে ভারত, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশে। ফাইনালে কুমার সাঙ্গাকারার শ্রীলঙ্কাকে ৬ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। শুরুতে ব্যাট করে শ্রীলঙ্কা ৫০ ওভারে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ২৭৪ রান তোলে। পালটা ব্যাট করতে নেমে ভারত ৪৮.২ ওভারে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ২৭৭ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। উল্লেখ্য, ভারতই প্রথম দেশ, যারা ঘরের মাঠে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়। টিম ইন্ডিয়ার এটি দ্বিতীয় বিশ্বকাপের ট্রফি। ছবি- এপি। 11/12 ২০১৫ সালে বিশ্বকাপ আয়োজিত হয় যুগ্মভাবে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে। ফাইনালে ব্রেন্ডন ম্যাকালামের নিউজিল্যান্ডকে ৭ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় মাইকেল ক্লার্কের অস্ট্রেলিয়া। প্রথমে ব্যাট করে নিউজিল্যান্ড ৪৫ ওভারে ১৮৩ রানে অল-আউট হয়ে যায়। জবাবে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া ৩৩.১ ওভারে ৩ উইকেটের বিনিময়ে ১৮৬ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। অস্ট্রেলিয়ার এটি পঞ্চম বিশ্বকাপের ট্রফি। তারা দ্বিতীয় দল হিসেবে ঘরের মাঠে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়। ছবি- গেটি। 12/12 ২০১৯ সালে বিশ্বকাপ আয়োজিত হয় যুগ্মভাবে ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে। ফাইনালে কেন উইলিয়ামসনের নিউজিল্যান্ডকে বাউন্ডারি কাউন্টে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ইয়ন মর্গ্যানের ইংল্যান্ড। প্রথমে ব্যাট করে নিউজিল্যান্ড ৫০ ওভারে ৮ উইকেটের বিনিময়ে ২৪১ রান তোলে। পালটা ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ড ৫০ ওভারে ২৪১ রানে অল-আউট হয়ে যায়। ম্যাচ টাই হওয়ার পরে সুপার ওভারে ২ দলই ১৫ রান করে তোলে। শেষমেশ বেশি বাউন্ডারি মারার সুবাদে ইংল্যান্ডকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়। ইংল্যান্ড তৃতীয় দল হিসেবে ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ জেতে। ছবি- গেটি।