চিনের অর্থনীতি যে সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, তা দীর্ঘদিন ধরেই দাবি করা হচ্ছিল বিভিন্ন আন্তর্জাতিক রিপোর্টে। এমনকী চিনের নাগরিকরা যে সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বিক্ষোভ করছে, সেই দাবিও করা হয়েছে রিপোর্টে। এরই মাঝে এবার সেই দেশের অর্থনীতি নিয়ে বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি শোনা গেল শি জিনপিংয়ের গলায়।
1/5 চিনা অর্থনীতি যে সমস্যার সম্মুখীন, সম্প্রতি সেই কথা মেনে নিয়েছেন সেদেশের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং নিজেই। এরই পাশাপাশি তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, শীঘ্রই চিনের অর্থীতি ঘুরে দাঁড়াবে। সরকার সেই লক্ষ্যে পদক্ষেপ করবে। এদিকে কর্মসংস্থানেরও প্রতিশ্রুতি দেন চিনা প্রেসিডেন্ট। বিরল মুহূর্তে জিনপিং মেনে নেন, ২০২৩ সালে চিনের অনেক নাগরিক এবং সংস্থা আর্থিক ভাবে সমস্যায় পড়েছিল।
2/5 কমিউনিস্ট চিনের ইতিহাসে মাও সেতুঙের পর সবচেয়ে প্রভাবশালী নেতা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন শি জিনপিং। গতবছরই তৃতীয়বারের জন্য দেশের রাষ্ট্রপতি হয়েছেন তিনি। এহেন জিনপিং নতুন বছরে দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণে বলেন, 'আমি মেনে নিচ্ছি যে বিগত সময়ে কিছু সংস্থার কঠিন সময় পার হয়েছে। অনেক মানুষ চাকরির খোঁজ করেও পাননি এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনতে সমস্যায় পড়েছেন।'
3/5 এরপরই শি জিনপিং আরও বলেন, 'আমাদের অর্থনীতি শীঘ্রই স্থিতিশীল অবস্থায় পৌঁছবে। আমাদের অর্থনীতি দ্রুত গতিতে পুরনো ট্র্যাকে ফিরে আসছে। অর্থনীতি যাতে পুরোপুরি পুনরুদ্ধার করা যায়, তার জন্য সরকার পদক্ষেপ করে যাবে।' তিনি জানান, চিনের মানুষরা যাতে ভালো ভাবে জীবনযাপন করতে পারে, সেই লক্ষ্যে কাজ করার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেবে সরকার।
4/5 শি জিনপিং বলেন, 'চিনের যুব সমাজকে আরও ভালো মানের শিক্ষা প্রদান করা হবে। যুব সমাজ যাতে কর্মসংস্থানের সুযোগ পায়, সেদিকে নজর দেবে সরকার। এছাড়া প্রবীণ নাগরিকদের আরও ভালো মানের স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদান করবে সরকার।' উল্লেখ্য, গতবছরে চিনের বেকারত্বের হার রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছে গিয়েছিল। এরপর থেকে চিন সরকার এই সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশই বন্ধ করে দিয়েছিল।
5/5 চিনের ঘরোয়া অর্থনীতি অনেকটাই নির্ভরশীল ছিল নির্মাণ ব্যবসার ওপর। তবে কোভিডকালের পর থেকেই সেই দেশের নির্মাণ শিল্পের গ্রাফ নিম্নমুখী। এরপর থেকেই সেদেশের অর্থনীতি মন্দার মুখে দাঁড়িয়ে। এই আবহে অর্থনীতিকে ঘুরে দাঁড়াতে চিন সরকারের লক্ষ্য, ২০২৪ সালে দেশের অর্থনীতিকে ৫ শতাংশ বৃদ্ধি করতে হবে।