গত দু'মরশুমে আইএসএলে চূড়ান্ত হতাশাজনক পারফরম্যান্স করেছে ইস্টবেঙ্গল। এ বার অবশ্য স্টিফেন কনস্ট্যানটাইন কোচ হয়ে আসার পর নতুন করে স্বপ্ন দেখছেন লাল-হলুদ সমর্থকেরা। কিন্তু মরশুমের শুরুতেই নিঃসন্দেহে বড় ধাক্কা খেল ইস্টবেঙ্গলের ভক্তরা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নতুন টিম ডায়মন্ড হারবার এফসি-র কাছে প্রস্তুতি ম্যাচেই আটকে গেল কনস্ট্যানটাইন ব্রিগেড।
মঙ্গলবার কিবু ভিকুনার দলের বিরুদ্ধে গোলশূন্য ভাবে শেষ হল মঙ্গলবারের প্রস্ততি ম্যাচ। ম্যাচটি কিন্তু লাল-হলুদ ব্রিগেড হেরেও যেতে পারত। তবে ইস্টবেঙ্গলের গোলকিপার দেবনাথ কুণ্ডুর দুরন্ত পারফরম্যান্স রক্ষা করে লাল-হলুদকে। তবে এই মরশুমের শুরুতেই প্রস্তুতি ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলের পারফরম্যান্স দেখার পর, ফের রক্ষণ নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল।
আরও পড়ুন: ফের আনলাইনে পাওয়া যাবে ডুরান্ডের ডার্বির টিকিট, কী ভাবে সংগ্রহ করবেন?
তবে ইস্টবেঙ্গল এই ম্যাচে মূলত রিজার্ভ দলের ফুটবলারদের খেলিয়েছে। আক্রমণ, প্রতি আক্রমণে দু’দলের মধ্যে লড়াই একেবারে হয়নি, তা নয়। তবে লাল-হলুদকে একেবারেই উজ্জ্বল দেখায়নি। ইস্টবেঙ্গলের খেলায় প্রস্তুতির অভাব ছিল স্পষ্ট। লাল-হলুদের চেয়ে বরং গোলের সুযোগ বেশি তৈরি করে ডায়মন্ড হারবার এফসি। প্রায় গোটা ম্যাচটাই প্রেস বক্সে বসে দেখেন কনস্ট্যানটাইন। মাঝে মাঝে হতাশায় মাথা নাড়তেও দেখে গিয়েছে তাঁকে।
আরও পড়ুন: কেন নির্বাসিত AIFF? এর জন্য কী সমস্যায় পড়বেন ছেত্রীরা? কতটা সঙ্কটে EB-MB?
ম্যাচের পর সহকারী কোচ বিনো জর্জ অবশ্য দলের প্লেয়ারদের উৎসাহ দিতে বলেছেন, ‘সবে ১৫-১৬ দিন হল দলটা তৈরি হয়েছে। ম্যাচ খেলা তো আর চা তৈরির মতো সহজ ব্যাপার নয়। প্রধান কোচকে অনুরোধ করে মূল দল থেকে তিন জন ফুটবলারকে নিয়েছিলাম। তাদের খেলিয়েছি। এই দলেও বেশ কিছু ফুটবলার রয়েছে, যারা ভবিষ্যতে সিনিয়র দলে সুযোগ পেতে পারে। তবে কম সময়ে দল তৈরি এবং অনুশীলনের পরেও ফুটবলাররা যা খেলেছে, তাতে আমি খুশি। কনস্ট্যানটাইন নিজে পুরো খেলা দেখেছেন। বিরতিতে তিনি কিছু খেলোয়াড় পরিবর্তন করতে বলেন। কিন্তু হাতে বেশি ফুটবলার না থাকায় তা সম্ভব হয়নি।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।